পাঠ্যবইয়ে নেই যৌনশিক্ষা

যৌনতা প্রশ্নে যর্থাথ শিক্ষা ও সচেনতা চান বিশ্লেষকরা:

সুপ্রভাত বগুড়া (শিক্ষা-সাহিত্য): নানা বিধিনিষেধ-অনুশাসনে যৌনতা এখনও আড়ালে রাখার বিষয়। এ প্রশ্নে মুক্ত আলোচনার সুযোগ কম, পাঠ্যবইয়েও নেই জানার সুযোগ। সে কারণেই বাড়ছে বিকৃতি, ঘটছে মর্মান্তিক ঘটনা। তারুণ্য মানেই যেন আড্ডা আর সব বিষয়ে স্বতষ্ফূর্ত প্রকাশ। অজ্ঞতা বা প্রথা নয়, যৌনতা প্রশ্নে যর্থাথ শিক্ষা ও সচেনতা চান তারা।

সামাজিক নানা অনুশাসনে যৌনতা এখনও আড়ালে রাখার বিষয়। এ নিয়ে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে দূরত্ব আছে অভিভাবকেরও। এসব বাধা অতিক্রম করা না গেলে বিকৃতি বন্ধ করা যাবে বলেও মত তাদের। করোনায় দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বেড়েছে অনলাইন নির্ভরশীলতা, এতে সামনে আসছে নানা পর্নো সাইটও। সঠিক শিক্ষা না থাকায় এতে আসক্ত হচ্ছে অনেকেই।

Pop Ads

সমাজ বিশ্লেষকেরা জানান, তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার আর সামাজিক বিধিনিষেধের চাপে সম্পর্কের সনাতনী ধরণ থেকে বেরিয়ে আসছে তরুণেরা। এতে লোকচক্ষুর আড়ালে বাড়ছে অবাধ যৌনচার, তা নিয়ে আগ্রহ ও চর্চা। সংকট কাটাতে নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।

তারা বলেন, বর্তমান সময়ের বাচ্চারা অনেক খোলামেলাভাবে জানতে চায়। চিন্তা–চেতনার দিক থেকে এক প্রজন্ম পরে অনেক বড় পরিবর্তন আসবে। নিজের যৌনাঙ্গ চেনা, এটাকে সুস্থ রাখা—এটা একটা অধিকার। এসব নিয়ে লজ্জার ব্যাপারগুলো ভেঙে ফেলতেই হবে। বিশ্লেষকেরা জানান, পাঠ্যপুস্তকে যৌন ও প্রজননশিক্ষা থাকলেও শিক্ষকেরা এসব অধ্যায় এড়িয়ে যান।

সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলানো, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন উদ্যোগে এই কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো বিকল্প মাধ্যম দিয়ে কিশোর–তরুণদের যৌন ও প্রজননশিক্ষা দেয়া যেতে পারে।