সুপ্রভাত বগুড়া (অর্থ ও বানিজ্য): আসন্ন লকডাউনে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে কারখানা চালু রাখতে চান বস্ত্র ও পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে শিল্প নেতারা বলেন, উৎপাদন বন্ধ হলে ঈদে বেতন ভাতা দিতে অসহায় হয়ে পড়বেন মালিকরা। তাদের আশঙ্কা, পোশাক খাত লকডাউনের আওতায় থাকলে বহুমূখী সংকট সৃষ্টি হবে।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ১৪ এপ্রিল থেকে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এবার জরুরী সেবা ছাড়া সব অফিস আদালত, কারখানা বন্ধ থাকবে। কারখানা বন্ধ করে দেয়ার খবরে উদ্বিগ্ন বস্ত্র ও পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। উৎপাদন চালু রাখার দাবিতে রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএসহ শীর্ষ সংগঠনগুলো।
বিজিএমইএ এর নবনির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, স্বাস্থবিধি কঠোরভাবে মেনে চলায় বস্ত্র ও পোশাক খাতের কারখানা কর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ অনেক কম। তবে কারখানা বন্ধ হলে অনেক শ্রমিক গ্রামে ফিরে যাবে। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে বলেও আশঙ্কা উদ্যোক্তাদের। ইএবি সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, করোনার কারণে ক্রয়াদেশ কমে যাওয়া, স্থগিত হওয়া, পোশাকের দাম না পাওয়াসহ বহুমুখী চাপে পোশাক খাত।
কারখানা বন্ধ হলে এসব সমস্যা প্রকট হবে। অনিশ্চিত হবে শ্রমিকদের ভবিষ্যতও। বিজিএমইএ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেন, কারখানা বন্ধ হলে বিপর্যয় দেখা দেবে সাপ্লাই চেইনে। বন্দরে কনটেইনার জটসহ অনেক জটিলতা তৈরি হবে। নেতারা জানান, পোশাক খাতকে লকডাউনের আওতায় বাইরে রাখতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারে জনমত তৈরি হলে সরকার ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
এদিকে, কঠোর লকডাউনে কারখানা বন্ধ করলে ক্রয়াদেশ হারাবে বাংলাদেশ। এছাড়া শ্রমিকেরা ছুটিতে গ্রামের বাড়ি গেলে সংক্রমণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা কারখানা মালিকদের। এমন পরিস্থিতিতে কারখানা খোলা রাখার বিষয়টি সরকার সক্রিয়ভাবে চিন্তা-ভাবনা করছে বলে জানিয়েছেন বিকেএমইএর সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। রোববার বেলা তিনটায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকে এ আশ্বাস দেয়া হয় বলে জানান তিনি।