প্রযুক্তি পণ্যের ওপর ভর করেই চলছে করোনাকালীন প্রায় সব জরুরি সেবা। অথচ লকডাউনে বন্ধ রাখতে হচ্ছে প্রযুক্তিখাতের হার্ডওয়্যার পণ্যের দোকান ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা। খাত সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস আইসিটি বিভাগের। মহামারিকালে ঘরে বসেই অফিস-গবেষণাসহ দরকারি সব কাজ করছেন এই অর্থনীতিবিদ তবে, তার ল্যাপটপ নষ্ট হওয়ায় হাতের স্মার্টফোনটিই এখন একমাত্র ভরসা।
এ প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াসেল বিন শাদাত বলেন, আমি কম্পিউটার দিয়ে কাজ করছিলাম। এখন সেটা আর অন হচ্ছে না। ফলে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। অনেক জায়গাতেই এক্সেস পাচ্ছে না। স্কুল-মিটিং, চিকিৎসা, হোম অফিস, ব্যাংক-পুঁজিবাজারসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অনলাইন ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখাসহ হাজারো কাজে বাড়ছে প্রযুক্তি পণ্যর ব্যবহার।
হঠাৎ এসব পণ্য বিকল হলে লকডাউনে সংশ্লিষ্ট দোকান ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন ব্যবহারকারীরা। তারা বলেন, কম্পিউটার বন্ধ মানে আমার পরিবার অচল হয়ে যাওয়া। স্মার্ট ভেঙে গেছে। এখন নতুনও কিনতে পারছি না। আবার ভাঙাটা ঠিকও করতে পারছি না।
করোনাকালে জীবন-জীবিকার সেতুবন্ধন হয়ে উঠেছে তথ্য-প্রযুক্তি খাতের প্রতিটি পণ্য ও সেবা। এমন দাবি করে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়ার সুযোগ চান এখাতের ব্যবসায়ীরা। এলিফেন্ট রোড কম্পিউটার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জরুরি সেবার আওতায় যারা আছে, তাদেরকে সচল রাখতেও প্রযুক্তিগত সেবার প্রয়োজন আছে। তাই এটাকে জরুরি সেবার আওতায় নেওয়া উচিত।
তবে সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে হার্ডওয়্যার খাতকেও জরুরি সেবার আওতাভুক্ত করার আশ্বাস আইসিটি বিভাগের। এ প্রসঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন, আমাদের সাথে এ ব্যাপারে কেউ যোগাযোগ করেনি। তারা আবেদন করলে আমরা সেটা আলোচনা করে দেখতে পারি। বর্তমানে জরুরি সেবার আওতায় রয়েছে তথ্য-প্রযুক্তিখাতের টেলিকম সেবা, কলসেন্টার ও আইটি এনাবল সার্ভিস খাত।