প্রিন্স ফিলিপের মরদেহ শেষকৃত্য সম্পর্ণ, আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলো চিরবিদায়

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): গতকাল শনিবার উইন্ডসর ক্যাসেলের সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে অনুষ্ঠিত হয় ডিউক অব এডিনবরার শেষকৃত্য। করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন রাজকীয় পরিবারের সদস্যসহ মাত্র ৩০ জন। প্রিন্স ফিলিপের মরদেহ শেষকৃত্যের জন্য রাখা হয়েছিলো উইন্ডসর ক্যাসেলের ব্যক্তিগত চ্যাপেলে। পরে ফিলিপের নকশা করা ল্যান্ড রোভারে মরদেহ নেয়া হয় ক্যাসেলের রাষ্ট্রীয় প্রবেশপথে।

শেষকৃত্যের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ব্রিটেনের সময় বিকেল তিনটায়। যুক্তরাজ্য জুড়ে পালন করা হয় এক মিনিটের নীরবতা। করোনা কারণে শেষকৃত্যে অংশ নিতে না পারলেও নীরবতা পালন করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এরপর প্রিন্স ফিলিপের মরদেহ উইন্ডসরের ভেতরের সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে নেয়া হয়। সঙ্গে ছিলেন রানী ও ডিউকের চার সন্তান প্রিন্স চার্লস, এ্যান্ড্রু, এডওয়ার্ড ও প্রিন্সেস অ্যানে। ছিলেন ডিউকের দুই নাতি প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারিও। সেন্ট জর্জেস গির্জার ভেতরে ফিলিপের কফিন নিয়ে রাখা হয় একটি মঞ্চের ওপর।

Pop Ads

পাশেই একা বসে থাকেন রানী এলিজাবেথ। ৪ সঙ্গীতশিল্পীর একটি দল ডিউকের পছন্দের কয়েকটি গান পরিবেশন করেন। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফিলিপের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলের রাজকীয় ভল্টে সমাহিত করা হয় তাকে। ৯ এপ্রিল ৯৯ বছর বয়সে রাজভবন উইন্ডসর ক্যাসেলে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন প্রিন্স ফিলিপ। এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি অসুস্থ বোধ করায় প্রিন্স ফিলিপকে কিং এডওয়ার্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

তখন বলা হয়েছিল, তিনি কভিড-১৯ এ আক্রান্ত নন। হৃদযন্ত্র পরীক্ষার জন্য পরে তাকে আরেকটি হাসপাতালে সাত দিন রাখা হয়। সেখানে সফলভাবে তার হৃদযন্ত্রের পরীক্ষা ও চিকিৎসা হয় বলে জানিয়েছিল সংবাদমাধ্যম বিবিসি। দীর্ঘ প্রায় এক মাস চিকিৎসার পর গত মাসের মাঝামাঝিতে হাসপাতাল ছেড়েছিলেন প্রিন্স ফিলিপ। ১৯৪৭ সালে প্রিন্সেস দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের প্রায় পাঁচ বছর পর রানি হন এলিজাবেথ।