সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি): করোনার দিত্বীয় ঢেউ এর মাঝেই বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভিনকে বদলী করা হয়েছে। এ উপজেলায় তার কার্যকাল এক বছর তিনমাস। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে তাকে এই বদলির আদেশ দেয়া হয়।
শুক্রবার ১ জানুয়ারী এই বদলীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিদায়ী নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভিন বলেন, রাজশাহী পরিবেশ অধিদফতরে তাকে বদলি করা হয়েছে এবং এটা তার স্ব-ইচছায় বদলি।
জানাগেছে, এ উপজেলায় তার কার্যকাল এক বছর তিন মাসের মধ্যেই জনমনে অভিযোগ হয়ে উঠেছে সীমাহীন। এমনই পরিস্থিতিতে দীর্ঘ একমাস যাবত নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভিন অফিসে আসছিলেন না। বাসায় বসে শুধু অফিসিয়াল জরুরি ফাইলপত্রে স্বাক্ষর করেন। আর নিয়মিত অফিস না করায় দৈনন্দিন সেবা থেকে বঞ্ছিত হয়ে আসছেন উপজেলার সাধারণ জনগণ।
এসব কারনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে বাল্যবিয়ে ইভটিজিং, রাস্তার গাছ কাটা ও নানা অপরাধ সংঘটিত হলেও সেবা নিতে আসা জনগনের দুর্ভোগ হয়ে পড়েছিল অন্তহীন। বিভিন্ন সেকটরে সেবা ও অভিযোগ দিতে এসে জনগনকে ফিরে যেতে হয়েছে বাধ্য হয়ে।
এ প্রসংগে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ভিপি এম সুলতান আহমেদ জানান, ইউএনও দীর্ঘদিন যাবত অফিসে না বসায় সাধারল মানুষ সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আর বগুড়া জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক বলেন, ইউএনও মাহমুদা পারভীন শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তিনি ছুটি নিয়ে বাসা থেকে অফিসিয়াল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
এছাড়াও জনমনে অভিযোগ প্রসংগে আরও জানাযায়, চল্লিশ দিনের কর্মসুচির কর্মসৃজনের লোকজন দিয়ে উপজেলার রাস্তাঘাট ও গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন না করে তিনি সরকারি প্রকল্পগুলোতে তাদেরকে শ্রমিক হিসেবে ব্যবহার করছেন। এনিয়ে শুধু জনপ্রতিনিধি নয়, সচেতন জনগনের মাঝেও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে আড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ সাইদুর রহমান বলেন, চল্লিশ দিনের কর্মসুচির কর্মসৃজনের লোকজনকে সরকারি প্রকল্পগুলোতে শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগানোর কারনে উপজেলার রাস্তাঘাট ও গ্রামীন অবকাঠামো রক্ষনাবেক্ষন করা সম্ভব হচ্ছেনা। তাই এ থেকে পরিত্রান পাওয়া একান্ত জরুরি।
আর এ বিষয়ে বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভিন বলেন, উপর লেভেলে এসব বলেই কাজ করানো হচ্ছে। এ রকম নানা অভিযোগ জনমনে বিরাজ করার মাঝেই তার এই বদলী জনমনে অনেকটা প্রশান্তির বাতাস এনে দিয়েছে।
