বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কুমলিহার গ্রামে বিয়ের দাবীতে অনশন করছে কলেজ ছাত্রী মনিকা !

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কুমলিহার গ্রামে বিয়ের দাবীতে অনশন করছে কলেজ ছাত্রী মনিকা ! ছবি-বাপ্পি

সুপ্রভাত বগুড়া (অভিজিৎ বাপ্পী শিবগঞ্জ প্রতিনিধি): বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পিরব ইউপির কুমলিহার ফকিরপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের পুত্র মো: মমিন ইসলাম শুভ’র (২৬) সাথে বিয়ের দাবীতে একই গ্রামের মোহাম্মদ আলীর কন্যা মোছা: মনিকা আক্তার (১৯) মমিনের বাড়িতে অনশন করছে।

অনশনরত মনিকার সাথে কথা বলে জানা যায় যে, গত এক বছর যাবত বিয়ের প্রলোভনে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে মমিন। ইতিপূর্বে মনিকার দুই জায়গায় বিয়ে হয়, কিন্তু মমিম এর কারনে দুইটি সংসারই টেকেনি মনিকার।

Pop Ads

বিয়ের পরে স্বামীর সংসার ছেড়ে চলে আসতে ব্যাধ্য করে মমিন। এবিষয়ে গ্রামবাসীরা জানান,ইতিপূর্বে মনিকার দুই জায়গায় বিয়ে হয় কিন্ত দুই জায়গাতেই তার সংসার টিকেনি যার কারণে গ্রামবাসীদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়।

গত ১৯/০৬/২০২০ ইং তারিখ শুক্রবার মনিকাকে সঙ্গে নিয়ে মমিন বগুড়ায় গিয়ে তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করে। শুক্রবার রাতে আবারও মনিকার ঘরে প্রবেশ করে মমিন,তারপর দৈহিক সম্পর্ক চলাকালে পাশের ঘরে থাকা মনিকার মা বাবা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে মনিকাকে ডাকাডাকি করে,অবস্থা বেগতিক দেখে তড়িঘড়ি করে মমিন মনিকার কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়,যাওয়ার সময় মনিকার বাবাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় মমিন।

মনিকার মা বাবার চিৎকার শুনে আশেপাশের বাড়ির মানুষজন এগিয়ে আসলে তখন গ্রামের মানুষের কাছে স্পষ্ট হয় কেন মনিকার দু দুই জায়গায় সংসার টিকলো না।
এদিকে ঘটনা জানাজানির পর মনিকা যোগাযোগ করে মমিন এর সাথে,মনিকা জানতে চায় সে  এখন  কি করবে? মমিন স্পষ্ট জানিয়ে দেয় সে তাকে বিয়ে করতে পারবে না।

মমিনের এমন উত্তর জানার পর মনিকা মমিন এর বাড়ির সামনে বিয়ের দাবীতে  অনশনে বসে। এবিষয়ে মমিন এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। মমিন এর পিতা শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এবিষয় নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত বিষয়ে মনিকার বড় ভাই জানান,মমিন যদি তার বোনকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তোলে তাহলে ভাল, নতুবা মমিনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here