সুপ্রভাত বগুড়া (শ্যামল সরকার): বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় দুর্বৃত্তরা এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধে করে হত্যার পর লাশ একটি ডোবায় ফেলে যায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ, স্ত্রী ও শ্বশুর শাশুড়ীকে আটক করেছে।
এলাকাবাসী ও থানা সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের শিহিপুর পশ্চিমপাড়া এলাকার মোজাহার আলীর ছেলে আব্দুর রহিম ভোদল (৩৬) এর সাথে একই উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের নওদাবগা গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে রওশন আরার সাথে ১০/১১ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে ওই দম্পত্তি শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। সেখানে তাদের দাম্পত্য জীবন সুখের কাটছিল।
এক পর্যায়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ে দিন মজুর আব্দুর রহিম। ফলে সে দেনা গ্রস্থ হয়ে পড়ে। পরে পাওনাদারদের চাপের মুখে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যায়। এরই এক পর্যায়ে ৭ নভেম্বর শনিবার সকালে স্থানীয় লোকজন নিহত আব্দুর রহিমের মৃত দেহ শ্বশুর বাড়ির পাশে একটি ডোবায় পড়ে থাকতে দেখে থানায় সংবাদ দেয়।
এরপর পুলিশ সকাল ১০টায় এসে ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত ব্যক্তির স্ত্রী রওশন আরা (২৮), শ্বশুর বাদশা মিয়া (৫৫) ও শাশুড়ী জোসনা বেগম (৪৫) কে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় লোকজন জানান পাওনাদার বা পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। বৈকাল ৫টায় এ রিপোর্ট লেখা অবধি মামলা দায়েরের প্রস্তুুতি চলছিল।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার ওসি মোঃ রেজাউল করিম রেজা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের খুব অল্প সময়ের মধ্যে চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়াও তিনি আরও জানান, নিহত ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।