সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব): বগুড়া সদর উপজেলায় সাথী আকতার (৭) নামে সপ্তম শ্রেণীতে পড়–য়া পিতৃহারা এক শিশু শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। সে গোকুল ইউনিয়নের পলাশ বাড়ী গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বৃহঃবার ১৩ আগস্ট বগুড়া সদর থানা এস আই মনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তবে মেয়েটির সৎ মা ও বাবা আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে। আর এলাকাবাসীর অভিযোগের তীর তাদের দিকেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত সাথী আকতারের ৫ বছর বয়সে তার বাবা শাহ আলম মারা যায়। এরপর সাথীর মা হাসনা বেগম জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার ফরহাদ হোসেন নামে দুই সন্তানের জনকের সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ে করে। পিতৃ-মাতৃহারা হয়ে চোখের জলে দিন কাটে সাথীর। তবুও সুন্দর আগামীর প্রত্যাশায় লেখাপড়া করতে থাকে। সে পাশ্বববর্তী শিবগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী।
এমন পরিস্থিতিেিত সাথীর মা হাসনা বেগম তার বর্তমান স্বামী ফরহাদকে নিয়ে পুর্বের স্বামী শাহ আলমের বাড়িতে বসবাস করতে চাইলে স্বজনরা বাধা দেয়৷ এতে সে ক্ষুব্ধ হয়ে বগুড়া সদর থানায় গ্রামের বেশ কযেকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের সুত্র ধরে পুলিশ হাসনা বেগম ও তার প্রেমিক স্বামীকে ৩/৪ মাস পূর্বে আগের স্বামী শাহ আলমের বাড়ীতে উঠিয়ে দেয়। এভাবে সৎ বাবা ও মাকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করে সাথী। তবে জীবনে নেমে আসে অসহনীয় দুঃখ কষ্ট।
তবুও সাথীর বাবা শাহ আলমের বাড়ীর জায়গা সুকৌশলে বিক্রি করার জন্য হাসনা বেগম এখানে আসে। আর এ জন্য মাঝে মধ্যেই সৎ বাবা ও মা মিলে মেয়েটিকে শাররীরিক ও মানসিক ভাবে টর্চার করতো। তারা সন্দেহ করছেন, মেয়েটিকে সুকৌশলে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে। তাছাড়া অবুঝ এই শিশুর আত্মহত্যার প্রশ্নই আসেনা।
তাই সাথীর মা বাবাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মৃত্যুর কারন উদঘাটন হতে পারে বলে মতামত পোষন করছেন। এবিষয়ে ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর থানার এস আই মনোয়ার হোসেন বলেন, লাশ ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য ও তথ্য বের হবে।