বগুড়া বাউল উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেছেন, মানব মনে সম্প্রীতির সঞ্চার ঘটাতে হবে। বাউলরা মনের দুনিয়াতে বিচরণ করে। সাধনা ছাড়া বাউল হওয়া যায় না। আমাদের দেশে বাউল জনগোষ্ঠী শতবাধা উপেক্ষা করে তাদের সাধনা চালিয়ে যান। বাউলরা মনের কথার টানে একতারা বাজিয়ে পথের সন্ধানে চলে।
সময়ের টানে এখন বাউলরা তাদের কর্মের মধ্যে টিকে আছে, থাকবে। বগুড়া বাউল গোষ্ঠীর এই আয়োজন প্রশংসার দাবি রাখে। এই অনুষ্ঠানে যারা সংবর্ধিত হচ্ছেন তারাও গুণী কাজ করে যাচ্ছেন, গুণী কাজ করে বগুড়ার সংস্কৃতি তুলে ধরেছেন সারাদেশে।
এই সম্মাননা তাদের আরও দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। সময়ের টানে সবাই কাজ করছে বাউলাও পিছিয়ে নেই। সাম্যের গান গেয়ে চলেছে বাউল জনগোষ্ঠী। বাউল গান প্রাণের কথা বলে, সম্প্রীতির কথা বলে। আমাদের সকলকে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তনে বগুড়া বাউল গোষ্ঠির আয়োজনে দিনব্যাপী বাউল উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু।
বগুড়া বাউল গোষ্ঠীর সভাপতি আবু সাঈদ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না, বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়ার যুগ্ম পরিচালক মো: শাহিন আকতার, বাচিক শিল্পী অধ্যক্ষ শ্রাবণী সুলতানা, ইম্পোরিয়াল হোটেল ইন্টারন্যাশনাল ঢাকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান সুমন, ক্রিকেটার মুশফিকের পিতা মাহবুব হামিদ তারা।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বগুড়া বাউল গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক মাসউদ করিম। অনুষ্ঠানে সংগঠক হিসেবে আব্দুল হান্নান ও প্রকৌশলী মনোয়ারুল ইসলাম, বাউল শিল্পী হিসেবে জগদীশ চন্দ্র দাস এবং অভিনয়ে শাহাদৎ হোসেনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সংবর্ধনা পাওয়া গুণী শিল্পীদের অতিথিরা উত্তরীও পড়িয়ে দেন ও সম্মাননা পদক তুলে দেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের দপ্তর সম্পাদক এইচ আলিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বাউল সঙ্গিত পরিবেশন করবেন সুকুমার বাউল, আশুতোষ, বাউল পাগলা বাবলু, বাউল লতিফ শাহ, বাউল ক্ষ্যাপা বিদ্যুৎ, বাউল এমআর মানিক, বাউল ইভা, বাউল মিতু মন্ডলসহ বগুড়া বাউল গোষ্ঠির শিল্পীবৃন্দ।
