বগুড়ায় মৎস্যজীবী লীগের সংগঠন বহির্ভূত বিতর্কিত আহবায়ক কমিটি বিলুপ্তির আহবান

বগুড়ায় মৎস্যজীবী লীগের সংগঠন বহির্ভূত বিতর্কিত আহবায়ক কমিটি বিলুপ্তির আহবান। প্রতিকী-ছবি

সুপ্রভাত বগুড়া (শ্যামল সরকার, গাবতলী প্রতিনিধি): বগুড়ায় আ’লীগ এর সহযোগী সংগঠন আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ এর পূর্ণাঙ্গ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাতাব উদ্দিন(লাল) মাননীয় সংসদ সদস্য, বগুড়া-০১(সারিয়াকান্দি-সােনাতলা),মাননীয় সংসদ সদস্য,বগুড়া-০৫(শেরপুর-ধনুট),সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক,আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ,কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা,সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক,যুগ্ম সাধারণ সম্পাঃ/সাংগঠনিক সম্পাঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বগুড়া জেলা শাখা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন যে,

সভাপতি মোঃ আবুল কালাম এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাতাব উদ্দিন (লাল) সহ সক্রিয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি চলমান থাকা সত্ত্বেও চতুরতা ও গােপনীয়তার সহিত ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে বর্তমানে বিতর্কিত ও সংগঠন বহির্ভূত আহব্বায়ক কমিটিতে আমাকে ৭নং সদস্য এবং সভাপতিকে ৮নং সদস্য হিসেবে দেখানাে হয়েছে,উক্ত বিতর্কিত ও সংগঠন বহির্ভূত ভাবে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট্য আহবায়ক কমিটিতে অবগতি না করিয়া নিযুক্ত করেছে,এবং মানহানীকর ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেছে।

Pop Ads

আমার ঠিকানা বগুড়া,শেরপুর উপজেলা হওয়া সত্বেও উক্ত কমিটির কাগজ পত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদান করিয়া মাটিডালী,সদর,বগুড়া দেখানাে হয়েছে। যাহা আইনগত ভাবে দন্ডনীয় অপরাধ এবং দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের সামিল বটে। আমি উক্ত আহবায়ক কমিটিতে পূর্ব হইতে অদ্যবধি এই কমিটির কর্মকান্ডে পূর্বেও জড়িত ছিলাম না বৰ্তমানেও জড়িত নাই। সে বিভিন্ন সূত্রমতে জানতে পারে,উক্ত বিতর্কিত ১৯ সদস্য আহবায়ক কমিটির মোঃ রাসেল আহম্মেদ(কনক)আহবায়ক এবং মোঃ কামরুজ্জামান মানিক সদস্য সচিব হিসাবে নিযুক্ত আছেন। উক্ত সংগঠনের আহবায়ক/সদস্য সচিব অন্যান্য সদস্য/নেতা কর্মী বৃন্দকে অবগত না করিয়া তাহাদের ব্যক্তিগত একক মনােনিত কিছু সদস্য/নেতা কর্মীকে নিয়ে ব্যক্তিগত ভাবে মনগড়া মত কার্য্যক্রম পরিচালনা করিতেছে।

কারণ উক্ত আহবায়ক/সদস্য সচিব জেলা/উপজেলা কমিটির কিছু নেতা কর্মীকে উল্টো-পাল্টা,ভুল-ভাল বুঝিয়ে,যে এই কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট থেকে,জেলা কমিটি অনুমােদন করে নিয়ে আসতে দুই লক্ষ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা কেন্দ্রীয় কমিটিকে দিতে হয়েছে। উক্ত কেন্দ্রীয় কমিটির নাম ভাংগীয়ে/অপপ্রচার চালিয়ে জেলা/উপজেলা কমিটিতে পদ-পদবী দেওয়ার নাম করে,কমিটি দেওয়ার নাম করে,বিভিন্ন কর্মসূচী/প্রােগ্রামের নাম করে মােটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করছে। আরাে উল্লেখ করেন যে,যার নাই কোন চাকরি,নাই কোন ব্যবসা,নাই কোন প্রতিষ্ঠান,এই সদস্য সচিব কামরুজ্জামান মানিক ইতি পূর্বেও বগুড়া জেলার বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে বিতারিত হয়েছেন এবং বর্তমানে আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টি করছেন।

এছাড়াও উক্ত আহবায়ক কমিটিতে ১১নং সদস্য বিএনপির যুবদলের সক্রিয় কর্মী এবং তাহার মাত বিএনপি থেকে মনােনয়ন পত্র উওোলন করে বর্তমানে বগুড়া পৌরসভার মহিলা কাউন্সিলর পদ প্রার্থী হয়েছেন এবং ১২ নং সদস্য সহিদ জাকারিয়া বাবু,বগুড়া জেলা বিতর্কিত আহবায়ক কমিটি গঠন করার পূর্ব থেকেই মাদক দ্রব্য মামলায় জেল হাজতে। আরাে উল্লেখ করে,উক্ত সংগঠন পেশাজীবী সংগঠন হওয়া স্বর্তেও,মৎস্যজীবী পেশার কোন লােক উক্ত সংগঠনে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই।

বিধায়,উক্ত সংগঠনের আহবায়ক/সদস্য সচিব ব্যক্তিদ্বয় নিজেস্ব স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে তাহাদের একক মনােনিত জামাত,বিএনপি ও মাদক সেবনকারী অধিকাংশ ব্যক্তি দ্বারা উক্ত কমিটি গঠন করিয়া বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ এর সম্মানিত সভাপতি জনাব, মজিবর রহমান মজনু সাহেব কে ভূল-ভাল বুঝিয়ে, মিথ্যা তথ্য প্রদান করে উক্ত কমিটি সুপারিশ ক্রমে কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট হইতে একটি বিতর্কিত আহবায়ক বগুড়া জেলা কমিটি অনুমোদন করিয়ে নিয়ে আসেন।

পরবর্তীতে উক্ত সংগঠনের আহবায়ক/সদস্য সচিবসহ কিছু নেতা কর্মী দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে নানা রকম অনিয়ম-দূনীর্তির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ তথা পুরাে আওয়ামী লীগ সংগঠনের মান-সম্মান নষ্ট/ক্ষুন্ন করছে এবং দেশ ও সমাজের কাছে হেয় প্রতিপন্ন করছে। তাই উক্ত ব্যক্তিদ্বয় সহ তাহাদের বিরুদ্ধে জরুরী ভাবে সাংগঠনিক বিধি-ব্যবস্থা গ্রহন করা সহ বিতর্কিত ও সংগঠন বহিভূত ১৯ সদস্য বিশিষ্ট্য অাহবায়ক বগুড়া জেলা কমিটি বিলুপ্ত করার জোড় দাবী জানিয়েছে।