বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শীত হতে হবে  স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকল নেতাকর্মীকে- ভিপি সাহীন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শীত হতে হবে  স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকল নেতাকর্মীকে- ভিপি সাহীন
গতকাল দুপুর ১২ টায় স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ বগুড়া  জেলাস।ব শাখা আয়োজিত এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।জেলা শাখার সভাপতি ভিপি সাজেদুর রহমান সাহীন বলেন ১০ জানুয়ারী স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস বীর বাঙ্গালী জাতির একটি গুরুত্তপূর্ণ দিবস।
৮ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের এইদিনে পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশে ফেরার দিনটি শ্রদ্ধায়, ভালোবাসায় প্রতিবছর স্মরণ করে জাতি। মহানায়কের ফেরার সেই ঐতিহাসিক দিবস স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর সন্ধিক্ষণে এবার উৎসব-উদ্দীপনার সঙ্গে দিবসটি উদ্‌যাপিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে সবই হচ্ছে সীমিত পরিসরে।
পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই দিনের অপরাহ্ণে বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী বিমানটি যখন তেজগাঁও বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করে, তখন অগণিত জনতা মুহুর্মুহু হর্ষধ্বনি ও গগনবিদারী ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে স্বাগত জানান প্রিয় নেতাকে। বঙ্গবন্ধু বিমানবন্দর থেকে সরাসরি চলে যান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান)।
সেখানে লাখো মানুষের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের জন্য দেশবাসীকে অভিনন্দন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার কাজে সবাইকে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ সালের ২ ৫ মার্চ কালরাতে স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতির ওপর পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর আক্রমণ শুরুর পরই ধানমন্ডির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু।
বাঙালি যখন স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করছে, বঙ্গবন্ধু তখন পাকিস্তানের কারাগারে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামি হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন। বাঙালিদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হওয়ার পর বিশ্বনেতারা বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আন্তর্জাতিক চাপে শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।তিনি আরো বলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সকল নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শীত হয়ে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল  বাংলাদেশ বিনির্মানে জীবন বাজী রেখে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তত থাকতে হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা শাখার সহ- সভাপতি গোলাম হোসেন,মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক,বনি ছদর খুররম,আরিফুল হক বাপ্পী,সুলতান মন্ডল সজল,মশিউর রহমান মামুন,জাকিরুল ইসলাম লিচু,আমিনুল ইসলাম আকাস,নাসিমুল বারী নাসিম,আব্দুল মোমিন,লিটন শেখ, মোঃ রয়েল সহ জেলা ও পৌর শাখার নেতৃবৃন্দ।