বঙ্গোপসাগরের চিংড়িতে আণুবীক্ষণিক প্লাস্টিকের উপস্থিতি : গবেষণা

বঙ্গোপসাগরের চিংড়িতে আণুবীক্ষণিক প্লাস্টিকের উপস্থিতি গবেষণা

বঙ্গোপসাগরের চিংড়িতে আণুবীক্ষণিক প্লাস্টিকের উপস্থিতি মিলেছে, যা অতি খারাপ অবস্থার ইঙ্গিত করছে বলে জানিয়েছেন একদল গবেষক। গত ১৫ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক প্রকাশনা জার্নাল ‘ইনভাইরনমেন্টাল অ্যাডভান্সেস’এ গবেষণা নিবন্ধটি ‘প্রলিফেরেশন অব মাইক্রো-প্লাস্টিক ইন কমারশিয়াল সি-সল্ট ফ্রম দ্য ওয়াল্ড লংগেস্ট সি-বিচ অব বাংলাদেশ’ নামে প্রকাশিত হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, আণুবীক্ষণিক প্লাস্টিক থাকায় অগভীর ও তীরবর্তী এলাকায় থাকা বাদামি চিংড়ির প্রতি গ্রামে ৩ দশমিক ৪ এবং বাগদা চিংড়িতে ৩ দশমিক ৮৭ গ্রাম আণুবীক্ষণিক প্লাস্টিক পাওয়া গেছে। গবেষণাটি পরিচালনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক, সহযোগী অধ্যাপক ড. ফাহমিদা পারভিন এবং একই বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী জয়শ্রী নাথ ও তামান্না হোসেন।

Pop Ads

গবেষণায় আরও দেখা গেছে, বঙ্গোপসাগরে চিংড়ির পাশাপাশি বাণিজ্যিকভাবে তৈরি করা খাবার লবণে পলিস্টেরিন, ইথিলিন-ভিনাইল অ্যাসিটেট, পলিথিলিন, নাইলন, পলিথিলিন টেরেপথ্যালেট পাওয়া গেছে। এই আণুবীক্ষণিক প্লাস্টিকের মাত্রা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি।

এ বিষয়ে পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. তাজউদ্দিন সিকদার বলেন, মাইক্রো প্লাস্টিক সাধারণত হজম হয় না। এর আকার ক্ষুদ্র হওয়ায় খুব সহজে এটি কোষের মধ্যে ঢুকে যায়। এর প্রভাবে স্নায়ুবিক সমস্যার পাশাপাশি পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন জায়গায় ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বেশি।’