বদলগাছী বালু ইজারা লীজ নিয়ে মালিকানাধীন বাগানে, অবৈধ মাটি কাটার অভিযোগ

মালিকানাধীন বাগানে, অবৈধ মাটি কাঁটার অভিযোগ । ছবি-বুলবুল

সুপ্রভাত বগুড়া (বুলবুল আহম্মেদ বুলু, নওগাঁ বদলগাঁছী): বালুভরা ইউনিয়নের রামসাপুর মৌজায় ছোট যমুনা নদীর পাশের ব্যক্তি মালিকানার বাগান ভিটা জমিতে জোরপূর্বক মাটি কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বালু বোঝাই দুটি ট্রলার নৌকা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে।

বিকালেই জব্দকৃত ট্রলার এবং মোটরসাইকেল ছেড়ে দেন বলে দাবি করেন জমির মালিক। এসময় অবৈধভাবে মালিকানা জমিতে মাটি-বালি কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেও দাবি ভূক্তভোগীদের।

Pop Ads

এলাকাবাসী জানায়, বালু ইজারা সাব লিজ গ্রহীতা মানিক হোসেন ৪০/৫০ জন লোক ও ৭টি ট্রলার নৌকা নিয়ে রামসাপুর গ্রামের শৈলেন চন্দ্র মন্ডলের জমিতে মাটি-বালি কেটে নেয়। এসময় জমির মালিক ও ভোগ দখলকারীরা বাধা দিলে তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের প্হুমকি দেয়।

এ সময় বালু উত্তলোনকারীরা বলেন, ‘২৬ লাখ টাকা দিয়ে বদলগাছী ছোট যমুনা নদীর বালু ডাককারীর নিকট থেকে তারা ডেকে নিয়েছে। তাঁরা মাটি কাটবেই সেখানে বাধা দিয়ে কোন লাভ হবে না।’ গত ২৭ জুন বিষয়টি থানায় অভিযোগ করে চন্দ্র মন্ডলের ছেলে শৈলেন ও অখিল চন্দ্র মন্ডল। পরের দিন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতে চেয়েও আসেনি।

ওই দিনও মানিক ৪০/৫০ জন লোক ও ৭টি ট্রলার নৌকা নিয়ে এসে বাগানের ভিতর থেকে আবারো মাটি কাটতে থাকে। এতে বড় বড় কড়াই ও মেহগুনী গাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ হুমকির মুখে পড়ে। এসময় থানায় খবর দিলে এসআই আব্দুল খালেক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বালু বোঝাই দুটি ট্রলার নৌকা ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে।

তবে বিকালেই ট্রলার নৌকা ও মোটরসাইকেল ছেড়ে দেয় পুলিশ। বদলগাছী উপজেলার ছোট যমুনা নদীর বালু মহাল ইজারাদার মফিজ উদ্দীন এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা মাটি কাটিনি বালু কেটেছি। আমি সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়েছি বালু মহাল। বালু যোখানে থাকবে আমি সেখানেই বালু কাটতে পারবো। বালু যদি কারো বাড়ির ভিতরে থাকে সেটা সরকারের সম্পত্তি।

এছাড়াও যে বিষয় নিয়ে আপনি কথা বলছেন সে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ম্যাজিস্ট্রেট স্যারের সাথে আমার কথা হয়েছে তারা মাপ যোগ করে সীমানা নির্ধারণ করে দিবে।

এবিষয়ে বদলগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চেীধুরী জোবায়ের আহাম্মদ বলেন, মানিক বালু মহাল লিজ নিয়েছে এবং অভিযোগকারীদের জমি একই সঙ্গে রয়েছে। এ ছাড়াও তিনি বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) উক্ত জমি মাপযোগ করে যার যার সীমানা নির্ধারণ করে দিবে। এজন্য নৌকা ও মোটরসাইকেল ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নাহারুল ইসলাম সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, বর্তমান বালু মহাল লিজ গ্রহীতা আমাদের কাছ থেকে বালু ইজারদার পয়েন্টগুলো বুঝে না নিয়েই তারা বালু উত্তলোন করছেন। তিনি আরো বলেন, যেখানে সেখানে এলোপাতারিভাবে বালু উত্তলোন করা যাবে না।

দুটি ট্রলার নৌকা ও মোটরসাইকেল জব্দ করা বিষয়ে তিনি কিছুই জানে না। এ বিষয়ে থানা পুলিশ ভালো বলতে পারবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহা. আবু তাহির বলেন, বালু ইজারদার যে লিজ দিয়েছে সে কাগজ আমি এখন পাইনি। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here