বিমানবন্দর থেকে দীর্ঘ প্রায় ৪ ঘণ্টার শোভাযাত্রা শেষে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে পৌঁছেছেন সাফজয়ী বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা। সেখানে পৌঁছে বাঁধভাঙা উল্লাসে মেতে ওঠেন তারা। এ সময় তাদের সাথে যোগ দেন বাফুফে কর্মকর্তারা, ছিলেন বয়সভিত্তিক অন্যান্য দলের সদস্যরাও।
এমনকি বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে শৃঙ্খলার বাঁধভেঙ্গে বাফুফে ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে সেই উদযাপনে শরীক হন ভক্ত-সমর্থকরা। পরে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তারক্ষীরা কনফারেন্স রুমে নিয়ে যান সাবিনাদের। এর আগে, দুপুর পৌনে দুইটার দিকে নেপাল থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান সাফ নারী ফুটবল শিরোপা বিজয়ী মেয়েরা। এরপর শুরু হয় সংবর্ধনার আনুষ্ঠানিকতা। প্রথমে বিমানেই সংবর্ধনা দেন বাংলাদেশ বিমান।
এরপর বিমানবন্দরে বিজয়ী নারী দলকে সঙ্গে নিয়ে বাফুফের কর্মকর্তারা এবং কেক কাটেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। পরে বিজয়ী দলকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান ক্রীড়া তিনি। এরপর সংবাদ সম্মেলনে শেষে ছাদখোলা বাসে করে বাফুফে ভবনের পথে যাত্রা করে সাবিনা-কৃষ্ণারা। সাথে বিজয় মিছিল।
বিমানবন্দর থেকে সাবিনাদের চ্যাম্পিয়ন যাত্রা শুরু হওয়া মাত্রই দেখা যায় ঢাকার রাজপথের দুই ধারে অসংখ্য মানুষ। কেউ ছুটছেন চ্যাম্পিয়নদের বাসের পাশ দিয়ে, কেউ দাঁড়িয়ে হাত নাড়ছেন। বিমানবন্দর থেকে মতিঝিল বাফুফে কার্যালয় প্রতিটি সড়কে ছিল মানুষের জটলা।
তাদের সঙ্গে ছিল গণমাধ্যম আর ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের গাড়িও। ছাদ খোলা বাসে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে দাঁড়িয়ে সানজিদারা। বাংলার সাহসিকারা বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে, হাত নেড়ে অভিবাদন জানান তাদের জন্য অপেক্ষারত অগণিত জনতাকে।