বিমানবন্দরে বন্যার পানি, সিলেট ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ!

বিমানবন্দরে বন্যার পানি, সিলেট ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ!

পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যার কবলে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলা। পানিবন্দি অন্তত ২০ লাখ মানুষ। সিলেট ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে বন্যার পানি প্রবেশ করায় বিমানের সবধরনের ফ্লাইট ওঠা-নামা বন্ধ থাকবে।

সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ শুক্রবার বিকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সিলেট বিমানবন্দরের সবধরনের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে। বিমানের সবধরনের ফ্লাইট ওঠা-নামাও বন্ধ থাকবে।

Pop Ads

হাফিজ আহমদ আরো বলেন, এরই মধ্যে রানওয়ের শোল্ডার পানির নিচে ডুবে গেছে। অনেক যন্ত্রপাতি পানির নিচে। এজন্য সাময়িকভাবে তিনদিনের জন্য বিমানবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

সুনামগঞ্জে বন্যার ভয়াবহতা অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়েছে সুনামগঞ্জ শহরের সবচেয়ে উঁচু এলাকায়ও। জেলার ১২ উপজেলার ১০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন এলাকার লোকজনের পানি ও খাবার সংকটে।

আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও উঁচু এলাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে থাকার আশ্রয় খুঁজছেন অনেকে। গত ২০ বছরে এমন ভয়াবহ বন্যা দেখেনি সুনামগঞ্জের মানুষ। গুরুত্বপূর্ণ সড়কে পানি ওঠায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে অনেক এলাকায়। দুর্গত সবাইকে ত্রাণ পৌঁছে দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসক।

সিলেটের প্রতিদিন প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন অঞ্চল। গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ, কানাইঘাট, জৈন্তাপুর ও সদর উপজেলার ১০ লাখ মানুষ এখন পানিবন্দি। ফায়ার সার্ভিস, থানা, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ জরুরি পরিসেবা কেন্দ্রও বন্যার পানিতে তলিয়েছে। জেলা ও মহানগরীতে খোলা হয়েছে ১৩০ টি আশ্রয় কেন্দ্র।

সিলেট ও সুনামগঞ্জে বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ করছে সেনাবাহিনী। ভারী বৃষ্টিতে রংপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা ও কুড়িগ্রামের নিচু এলাকা পানিতে তলিয়েছে। লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। খুলে দেওয়া হয়েছে তিস্তা ব্যারেজের সবকটি গেট।