ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি থাকায় সীমিত করা হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী গণটিকার ক্যাম্পেইন

ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি থাকায় সীমিত করা হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী গণটিকার ক্যাম্পেইন

করোনায় সংক্রমিত ও মৃতদের অধিকাংশই রাজধানীর বাইরের হওয়ায় গ্রামের মানুষদের টিকার আওতায় আনতে একের পর পরিকল্পনা করে আসছিল সরকার। কিন্তু তিন দফা সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের পরও টিকার স্বল্পতা ও ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি থাকায় সীমিত করা হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী গণটিকার ক্যাম্পেইন। নতুন পরিকল্পনায় ছয় দিন নয়, টিকা দেওয়া হবে এক দিন। ৭ আগস্ট সারা দেশে ৩২ লাখের বেশি টিকা দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

এরপর টিকাপ্রাপ্তির ভিত্তিতে ও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে ১৪ আগস্ট শুরু হবে গণটিকার পুরো কর্মযজ্ঞ। টিকা কার্যক্রমের সার্বিক দিক নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক আজ শুক্রবার বিস্তারিত তুলে ধরবেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পরিকল্পনা ছিল এক কোটির বেশি টিকা দেওয়ার। কিন্তু বিভিন্ন মাধ্যমে টিকা এলেও ছয় দিনে কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেশন করার মতো টিকার মজুত নেই।

Pop Ads

তাই সময়সীমা কমিয়ে আনা হয়েছে। আপাতত শনিবার নিবন্ধনের ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। এ ছাড়া গ্রাম পর্যায়ে যাঁদের জাতীয় পরিচয়পত্র আছে এবং যাঁরা বয়সোর্ধ্ব, অসুস্থ ও প্রতিবন্ধী তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন। প্রতিটি কেন্দ্রে ২০০ জনকে টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দেশে ৪ হাজার ৫৫৩টি ইউনিয়ন পরিষদ, ৩২৮টি পৌরসভা ও ১২টি সিটি করপোরেশন আছে।

প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে, ইউনিয়নপ্রতি তিনটি বুথ থাকবে। কেন্দ্রগুলো হবে স্কুল। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী কোথাও কোথাও হাসপাতালেও হতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বরাদ্দ হওয়া টিকা আজ ভোরের দিকে বিভাগীয় ও জেলা শহরে পৌঁছবে। টিকাদানের দিন সকালে প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম বলেন, আপাতত ৭ আগস্ট টিকার ক্যাম্পেইন হবে।

টিকার স্বল্পতা দূর হলে ও সবকিছু ঠিক হলে ১৪ আগস্ট থেকে পুনরায় টিকা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘টিকার পরিমাণ যে খুব বেশি তা কিন্তু নয়। একসঙ্গে ভালো পরিমাণ টিকা আসছে না। এখন আমাদের একসঙ্গে চারটা টিকা দিতে হচ্ছে। এটিও জটিলতার একটা কারণ। অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, ফাইজার ও সিনোফার্মের প্রথম ডোজের পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজও দেওয়া হচ্ছে। শুধু দিলেই তো হবে না। সবকিছুর হিসাব করতে হবে।’

মাঠের চিত্রের ওপর ভিত্তি করে বারবার পরিকল্পনা পরিবর্তন করতে হচ্ছে জানিয়ে খুরশীদ আলম বলেন, ‘সিটি করপোরেশনে নতুন করে টিকাকেন্দ্র বাড়ানো হবে না। প্রধান সমস্যা পরিবহনে। সব টিকা সবখানে নেওয়া যাচ্ছে না। মডার্নার যে পরিমাণ টিকা আছে, সেগুলো যদি গ্রাম পর্যন্ত নেওয়া যেত তাহলে দিতে পারতাম। কিন্তু নেওয়া যাচ্ছে না।’