ভারত থেকে সব দেশে টিকা রপ্তানির অনুমোদন আছে : প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা

ভারত থেকে সব দেশে টিকা রপ্তানির অনুমোদন আছে : প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): করোনা টিকা রপ্তানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়েছে। এদিকে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে বর্তমান টিকা দুটির কার্যকারিতা কোনো চ্যালেঞ্জে পড়বে না বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে টিকা রপ্তানিতে কোনো বাধা নেই বলে জানান ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের প্রধান নির্বাহী আদর পুনাওয়ালা।

তিনি এক টুইটে জানান, ভারত থেকে সব দেশে টিকা রপ্তানির অনুমোদন আছে। রোববার এক সাক্ষাৎকারে আদর পুনাওয়ালা বলেছিলেন, কয়েক মাসের জন্য ভ্যাকসিন রপ্তানির অনুমতি দেবে না ভারত। ভারতীয়রা যেন যথাযথভাবে ভ্যাকসিন পায়, সেজন্য আগামী কয়েক মাস ভ্যাকসিন রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ভারত সরকার।

Pop Ads

এরপর আবার সোমবার সেরাম ইনস্টিটিউটের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিবিসিকে জানান, টিকা রপ্তানিতে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই।  অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনার টিকার উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে গত ৫ নভেম্বর সেরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার ও বেক্সিমকো।

বাংলাদেশ চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই করোনার টিকা পাবে বলে জানিয়েছে, সেরামের বাংলাদেশি অংশীদার বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। সোমবার প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা জানান, বেক্সিমকো ও সেরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে।

সেই চুক্তিতে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় অনুমোদনের পর (বাংলাদেশ সরকারের অনুমোদন) সেরাম ইনস্টিটিউট এক মাসের মধ্যেই প্রথম ধাপের টিকা সরবরাহ করবে। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে তাদের (সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইনডিয়া) নিয়মিত যোগাযোগ আছে। আজো বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

আমরা নিশ্চিত, আমাদের সঙ্গে যেভাবে চুক্তি হয়েছে সে অনুযায়ী, সে সময়েই আমরা ভারত থেকে টিকা পাবো। রাব্বুর রেজা আরো বলেন, আমরা ছয় মাসে তিন কোটি ডোজের চুক্তি করেছি। সেরাম ইতিমধ্যেই পাঁচ কোটি ডোজ বানিয়ে ফেলেছে। তাদের চাহিদার তুলনায় আমাদের চাহিদা সামান্য। সে ক্ষেত্রে টিকা প্রাপ্তিতে কোনো অসুবিধা হবে না।