‘ভুল করে’ নিরাপত্তাবাহিনীর গুলি, ভারতে প্রাণ হারালো ১৩ গ্রামবাসী

নাগাল্যান্ডে ১৩ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা

রতের নাগাল্যান্ডে ১৩ জন নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করেছে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী। তাদের ‘ভুল করে’ হত্যা করা হয়েছে, এমনটাই দাবি কর্তৃপক্ষের। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) নাগাল্যান্ডের মন জেলায় ওটিং গ্রামে সন্ত্রাসদমন অভিযান চালানোর সময় গ্রামবাসীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। খবর এনডিটিভি’র।

এই ঘটনার জেরে সমালোচনার মুখে পড়েছে নিরাপত্তাবাহিনী। নাগাল্যান্ড পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামটি মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত। এই ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর এক সদস্যেরও মৃত্যু হয়েছে। নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও টুইটারে এটাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা’ বলে উল্লেখ করে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

Pop Ads

ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শোক প্রকাশ করে টুইট করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আসাম রাইফেলসের পক্ষ থেকেও এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এ ঘটনার উচ্চপর্যায়ের তদন্ত হবে। দোষীদের আইন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, একটি পিক-আপ ভ্যানে করে ওটিং গ্রামে ফিরছিলেন গ্রামবাসীরা। ‘সন্ত্রাসবাদী’ ভেবে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় নিরাপত্তাবাহিনী। দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় তাদের খুঁজতে বের হন গ্রামের অন্যান্যরা। একটি ট্রাকের মধ্যে তাদের দেহগুলি উদ্ধার হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্ত্রাস রোধে তিরু-ওটিং রোডে অভিযান চালানো হয়। সেসময় স্থানীয় গ্রামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালাতে শুরু করে। গুলিতে গ্রামবাসীরা মারা গেলে উত্তেজনা বেড়ে যায়। তবে পুলিশের দাবি, ‘আত্মরক্ষার’ জন্য গুলি চালাতে হয়েছে নিরাপত্তাবাহিনীকে। বাহিনীর কয়েকটি গাড়িও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।