ভ্যাকসিন গ্রহণকারী সবাইকেই টেলি মেডিসিন সেবা দিবে সরকার

ভ্যাকসিন গ্রহণকারী সবাইকেই টেলি মেডিসিন সেবা দিবে সরকার

সুপ্রভাত বগুড়া ( স্বাস্থ্য চিকিৎসা): ভ্যাকসিন গ্রহণকারী সবাইকেই সরকার টেলি মেডিসিন সেবা দিবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান। তিনি বলেন, ‘অ্যাস্ট্রেজেনেকার অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন যারা গ্রহণ করেছে তাদের শারীরিকভাবে বড় কোন সমস্যা এখনো দেখা দেয়নি। তবে ভ্যাকসিন পরবর্তী কারো শরীরে কোন ধরনের পার্শ প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে তার তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা দেবার জন্য ভ্যাকসিন গ্রহণকারী সবাইকেই টেলি মেডিসিন সেবা দিবে সরকার।’

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আজ বুধবার সকালে তেজগাঁওস্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দেশের স্বাস্থ্য বিটের সংবাদ কর্মীদের সাথে ভ্যাকসিন সংক্রান্ত একটি সভায় এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজের সভাপতিত্বে সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এসময় উপস্থিত ছিলেন।

Pop Ads

প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি বিষয়ক) জুয়েনা আজিজ বলেন, ভ্যাকসিন দেশে এলে সেটিকে যথাযথ নিরাপত্তার মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হবে এবং এই ভ্যাকসিন প্রদানে যেন কোন প্রকার অনিয়ম না হয় সে ব্যাপারে সরকার কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা রাখবে। ভ্যাকসিন দেশে আসার পর কিভাবে মানুষকে দেয়া হবে এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জানান, ভ্যাকসিন দেশে আসার পর প্রথমে সেগুলি ঢাকার ৪টি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল-কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে দেয়া হবে। +

এরপর ৭ দিন সেগুলি পর্যবেক্ষণ করা হবে। ৭ দিন পর্যবেক্ষণ শেষে ভ্যাকসিন দেশের মানুষের জন্য প্রয়োগের কাজ শুরু করা হবে। দেশে কোন নকল ভ্যাকসিন প্রয়োগের সুযোগ আছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব জানান, দেশের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কঠোর নিয়েমের মাধ্যমে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের কোন সুযোগ নেই। এর জন্য সরকার ‘সুরক্ষা অ্যাপ’ নামে একটি মাত্র সরকারি অ্যাপ থেকেই ভ্যাকসিনের জন্য নাম নিবন্ধনের সুযোগ দিয়েছে। এর ফলে নকল ভ্যাকসিন প্রয়োগের আর কোন সুযোগ নেই।

সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘কোভিড চলাকালিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যেভাবে স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রচার করা হয়েছে একইভাবে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানের সকল তথ্য মানুষের কাছে দ্রুততার সাথে পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নিয়মিত ভ্যাকসিন বুলেটিন প্রচারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’ সভায় আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ‘সুরক্ষা অ্যাপ’ এর খুটিনাটি বিষয়াদি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। সূত্র: একুশে টেলিভিশন