মুসলিম ব্রাদারহুডের ১১ নেতার ফাঁসি যে কোনো মুহূর্তে কার্যকর হতে পারে

মুসলিম ব্রাদারহুডের ১১ নেতার ফাঁসি যে কোনো মুহূর্তে কার্যকর হতে পারে

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): মিসরে মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় থাকা মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনীতিবিদদের পরিবার বলছে, জুনের শেষ দিকে প্রেসিডেন্টের ক্ষমা না আসলে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে। পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ আল-বেলতাজির স্ত্রী সানা আবদেল গাওয়াদ বলেন, আমরা ক্রমাগত আতঙ্কের মধ্যে বাস করছি। মৃতুদণ্ডের সাজা বহাল থাকায় যে কোনো মুহূর্তে তা কার্যকর হতে পারে।

গত ১৪ জুন আফ্রিকান দেশটির সর্বোচ্চ আপিল আদালতে বেলতাজিসহ আরও ১১ সরকারবিরোধীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা বহাল রাখা হয়েছে। এতে যে কোনো সময় তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। লন্ডনভিত্তিক মিডল ইস্ট আই এমন খবর দয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, শুরু থেকেই যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই এই বিচার হয়েছে।

Pop Ads

হিউম্যান রাইটসের ভাষায়, এটি বিচারের নামে মশকরা। আর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, মিসরের সর্বোচ্চ আপিল আদালতের জন্য এই বিচার কলঙ্ক হয়ে থাকবে। যা দেশটির পুরো বিচার ব্যবস্থায় কালো ছায়া ফেলবে। এছাড়া রাবা চত্বরে ব্যাপক হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হয়নি।

25মিসরের ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে, আদালতের রায় ঘোষণার ১৪ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্টের ক্ষমা ঘোষণা না আসলে ফাঁসি দেওয়া হবে। মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় থাকা ব্রাদারহুড নেতাদের মধ্যে ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিরাও রয়েছেন। এছাড়া দেশটির গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রথম প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে উৎখাতে আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির নেতৃত্বাধীন সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদকারীরাও আছেন।