মে দিবসে সর্বস্তরের মালিক-শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি : সিজার

আজ ১লা মে দিবস !

সুপ্রভাত বগুড়া (স্বাধীন মতামত): আজ আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। যা মে দিবস নামেও পরিচিত। প্রতি বছর ১ মে বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয় দিনিটি। এটি আন্তর্জাতিক শ্রমিক আন্দোলনের উদযাপন দিবস। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শ্রমজীবী মানুষ এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো রাজপথে সংগঠিতভাবে মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে দিবসটি পালন করে থাকে।

বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে ১ মে জাতীয় ছুটির দিন। আরও অনেক দেশে এটি বেসরকারিভাবে পালিত হয়। ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের শ্রমিকরা দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন।

Pop Ads

তাদের এ দাবি কার্যকর করার জন্য তারা সময় বেঁধে দেন ১৮৮৬ সালের পহেলা মে পর্যন্ত। বারবার মালিকপক্ষের কাছে দাবি জানানো হলেও কোনো সাড়া না পাওয়ায় শ্রমিকদের প্রতিবাদ চরমে ওঠে।

হে মার্কেটের ঘটনা ৪ মে, ১৮৮৬ সাল। ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা। চারদিকে হালকা বৃষ্টির সঙ্গে হিমেল হাওয়া বইছে। এরই মধ্যে শিকাগোর হে মার্কেট স্কয়ার নামের এক বাণিজ্যিক এলাকায় শ্রমিকরা মিছিল করতে জড়ো হন।

অগাস্ট স্পিজ নামে এক নেতা জড়ো হওয়া শ্রমিকদের উদ্দেশে কিছু কথা বলছিলেন। হঠাৎ দূরে দাঁড়ানো পুলিশ দলের কাছে এক বোমার বিস্ফোরণ ঘটে, এতে মেথিয়াস জে. ডিগান নামের একজন পুলিশ তৎক্ষণাৎ এবং আরও ছয়জন পরবর্তীতে নিহত হন। পুলিশবাহিনী শ্রমিকদের ওপর অতর্কিতে হামলা শুরু করে- যা দাঙ্গায় রূপ নেয়। এই দাঙ্গায় ১১ জন শ্রমিক শহীদ হন।

শ্রমিকদিবস ঘোষণা ১৮৮৯ সালের ১৪ জুলাই ফ্রান্সে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক শ্রমিক সম্মেলনে ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী বছর থেকে ১ মে বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে ‘মে দিবস’ বা ‘আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস’।

তবে যে দেশে এ ঘটনার, জন্ম সেই যুক্তরাষ্ট্রই মে দিবস পালন করে না। একই কথা কানাডার ক্ষেত্রেও। এই দুটি দেশ সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সোমবার শ্রমিক দিবস পালন করে থাকে।

আজকের এই দিনে সারা বাংলাদেশ তথা সারা বিশ্বের আমার ভালবাসার সর্বস্তরের শ্রমিক ভাই-বোনদের জানাই ১লা মে দিবসের অনেক অনেক শুভেচ্ছা।
সেই সাথে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীনের দরবারে প্রার্থনা জানাই সারা বিশ্বের শ্রমজীবি মানুষকে নেক হায়াত ও সুস্থতা দান করুন।

শ্রমিক আছে বলেই আজকের এই ডিজিটাল পৃথিবী। তাই সকল শ্রেণীর মালিকদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, শ্রমিকদের সুখে-দুঃখে তাদের পাশে দাঁড়ান। শ্রমিক টিকলে, টিকবে পৃথিবী, চলবে বিশ্ব।

পরিশেষে সর্বস্তরের মালিক-শ্রমিকদের সুস্বাস্থ্য – দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সেই সাথে সবাইকে সারা বিশ্বের এই করোনা (COVID-19) নামের এই মহামারী মোকাবেলায় স্ব- স্ব অবস্থানে থেকে নিজে বাঁচুন ও নিজের পরিবার, নিজের সমাজ ও নিজের দেশকে বাঁচান। ঘরে থুকুন। নিরাপদে থাকুন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here