যুক্তরাষ্ট্রে থামছেই না সহিংস বিক্ষোভ,হোয়াইট হাউজের সামনে আগুন লাগানোর চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের

সুপ্রভাত বগুড়া (আন্তর্জাতিক): যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে এক কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার বিচার দাবিতে, থামছেই না সহিংস বিক্ষোভ। যা ছড়িয়ে পড়ছে গোটা দেশে। হোয়াইট হাউজের সামনে আগুন লাগানোর চেষ্টা করেছেন বিক্ষোভকারীরা।

দোকানপাট-বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে, লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে অন্তত ১৫টি রাজ্যে নেমেছে ন্যাশনাল গার্ড।

Pop Ads

৪০টি শহরে জারি করা হয়েছে কারফিউ। দীর্ঘদিনের বঞ্চনা আর না পাওয়ার ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন, হাজারো মার্কিনি। মিনিয়াপোলিস থেকে যে বিক্ষোভের শুরু; তার আঁচ লেগেছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে।

প্রতিদিনই বাড়ছে এর উত্তাপ। বড় বিক্ষোভ হয়েছে, আটলান্টা, বোস্টন, মায়ামি ও ওকলাহোমা শহরে। নিউইয়র্ক, শিকাগো, ফিলাডেলফিয়া ও লসএঞ্জেলেসে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়েছে, বিক্ষোভকারীরা।

বিভিন্ন শহরে কারফিউ দেয়া হলেও; তাতে থামছে না, ক্ষোভের আগুন। গেল এক সপ্তাহে শতশত বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। যার মধ্যে আছেন, নিয়ইয়র্ক সিটি মেয়রের মেয়ে।

ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বাউসার বলেন, এমন পরিস্থিতি শান্ত করতে ট্রাম্প সরকারকে এগিয়ে আসা দরকার। গেল ৮-১০ সপ্তাহ ধরে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি।

কিন্তু এ ঘটনায় তার কনোটাই রক্ষা হয়নি। বিক্ষোভকারীদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছেন নিউ জার্সির পুলিশ সদস্যরা। কাঁধে-কাঁধ মিলিয়ে যোগ দিয়েছেন বিক্ষোভে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর প্রশংসা করছেন অনেকে। অস্থিরতার এই সুযোগে সমান তালে চলছে, লুটপাট, বাড়িঘর-দোকানপাট ভাঙচুর। রাজ্য প্রশাসন বাধ্য হয়ে ডাকছেন, ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের।

রোববার বিক্ষোভকারীদের ওপর লরি উঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন, এক চালক। এতে অবশ্য কেউ হতাহত হননি। মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ বলেন, এটা খুবই ভয়াবহ ঘটনা। বিক্ষোভকারিরা শান্তিপূর্নভাবে প্রতিবাদ করছিল।

লরি চালককে আটক করা হয়েছে। টুইটবার্তায় বিক্ষোভকারীদের চরমপন্থি বলেছেন, ট্রাম্প। হুশিয়ারি দিয়েছেন, শক্ত হাতে দমন করার। কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

তিনি বলেন, সকলের বৈষম্যের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে আমাদের। একে অপরকে সম্মান করতে হবে। কানাডায়ও এ বিষয়ে কাজ করতে হবে। গত ২৫ মে মিনেসোটায় হাঁটু দিয়ে, ৪৬ বছর বয়সী জর্জ ফ্লয়েডের ঘাঁড় মাটিতে চেপে ধরেন, এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ। যাতে তার মৃত্যু হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here