রেমিট্যান্সের জোয়ার আগস্টেও , ১০ দিনে এলো ৮১৩ মিলিয়ন ডলার

171
রেমিট্যান্সের জোয়ার আগস্টেও , ১০ দিনে এলো ৮১৩ মিলিয়ন ডলার

করোনা অভিঘাতের রেশ না কাটতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আঘাত। পরিপ্রেক্ষিতে টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতি। এ অবস্থাতেও প্রবাসী আয়ে হাসছে বাংলাদেশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস (জুলাই) থেকেই রেমিট্যান্সে জোয়ার উঠেছে। চলতি আগস্টেও সেই ধারা অব্যাহত আছে। এ মাসের প্রথম ১০ দিনে ৮১ কোটি ১৩ লাখ ( ৮১৩ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে।

দেশীয় মুদ্রায় (প্রতি ডলার ৯৬ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ৭ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা। চলমান এ ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে এ মাসের শেষে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে  প্রায় ২৪৩ কোটি ডলার। বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

Pop Ads

গত মাসে ২০৯ কো‌টি ৬৯ লাখ ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে পা‌ঠান প্রবাসীরা। স্থানীয় মুদ্রায় বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। সবমিলিয়ে আগের বছরের জুলাইয়ের তুলনায় নতুন অর্থবছরের একই সময়ে ২২ কোটি ৫৪ লাখ ডলার বেশি এসেছে। ওই সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পাঠান ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার।

চলতি বছরের জুলাইয়ে আগের মাস জুনের চেয়ে প্রায় ২৬ কোটি ডলার বেশি এসেছে। জুনে রেমিট্যান্স আসে ১৮৩ কোটি ৭২ লাখ ডলার। মে মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংক ও খোলাবাজারে ডলার বিনিময় হারের ব্যবধান বেশি থাকে। ফলে বৈধ চ্যানেলের তুলনায় হুন্ডিতে অধিক রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। বর্তমানে প্রতি ডলার রেমিট্যান্সের বিপরীতে ৯৬ থেকে ৯৮ টাকা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। সঙ্গে যোগ হচ্ছে সরকারের আড়াই শতাংশ প্রণোদনা। সবমিলিয়ে ১ ডলারে  ১০০ টাকা পাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

তারা বলছেন, কিন্তু কার্ব মার্কেটে প্রতি ডলার ১১৮ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে ভিন্ন পথে রেমিট্যান্স পাঠালে বেশি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এতে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। তাই ব্যাংক ও উন্মুক্ত বাজারের মধ্যে ব্যবধান না কমলে প্রবাসী আয় বৃদ্ধি কঠিন হবে।