শিবগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আল-আদাব মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্রীর মৃত্যু !

শিবগঞ্জে অগ্নিদগ্ধ হয়ে আল-আদাব মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্রীর মৃত্যু। প্রতিকী-ছবি

সুপ্রভাত বগুড়া (অভিজিৎ বাপ্পী শিবগঞ্জ প্রতিনিধি): বগুড়ার শিবগঞ্জ আল-আদাব মাল্টিমিডিয়া মডেল মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী মোছাঃ জান্নাতি আক্তার (০৯) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু। এলাকায় শোকের ছায়া। বিভিন্ন মহলের শোক। জানা যায়, শিবগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় কালিপাড়া গ্রামের জাকারিয়ার কন্যা ও আল-আদাব মাদ্রাসার মেধাবী ছাত্রী মোছাঃ জান্নাতি আক্তার গত ০৪ জানুয়ারী তাদের রান্না ঘরে গ্যাসের চুলা থেকে ভাতের পাতিল নামানো সময় অসাবধানতা বসত: তার গায়ের জামায় আগুন ধরার সাথে চিৎকার দিলে তার দুখুনী মা দৌড়ে এসে জামায় পানি দিতে দিতেই তার সাড়া শরীর অগ্নিদগ্ধ হয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের পক্ষ থেকে ঢাকায় বার্ডেন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ৩০ ঘন্টা মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে মৃত্যু বরণ করেন গত মঙ্গলবার তিনি মৃত্যু বরণ করেন। জান্নাতির মৃত্যুর সংবাদ শুনে তার প্রতিষ্ঠানের সহপাঠিরা মুখে মাস্ক লাগিয়ে মাদ্রাসা চত্বরে এসে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। এসময় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান, সহকারি শিক্ষিকা মমতাজ বেগম ও পরিচালক মাহমুদুল হাসান তাদেরকে আদর ও শান্তনা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। সহপাঠিরা বাড়িতে যাওয়ার সময় তাদের ম্যাডামকে বলেন, কখন আসবে জান্নাতির লাশ আমাদের একটু জানিয়ে দিবেন এক নজর আমরা জান্নাতিকে দেখবো।

Pop Ads

এদিকে জান্নাতির মৃত্যুর খবর শিক্ষকদের মোবাইল ফোনে কান ভারী করে তোলে সবার একই জিজ্ঞাসা এ কী করে হলো স্যার। এদিকে এ শিশু বাচ্চার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন পৌর মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক, বিএনপি নেতা সাবেক মেয়র মতিয়ার রহমান মতিন, উপজেলা বিএনপি নেতা এস.এম তাজুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী, কাউন্সিলর প্রার্থী মাষ্টার মোকলেছুর রহমান দুলু, আবু সাইদ, মোকছেদুর রহমান, মোছাঃ আনোয়ারা বেওয়া, মোছাঃ শাহনাজ বেগম, শামছুন্নাহার,

আল-আদাব মাদ্রাসার এমডি নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান, পরিচালক মাহমুদুল হাসান, সহকারি শিক্ষক মাও: মুঞ্জুরুল হক, সাজু মিয়া, মমতাজ বেগম, শারমিন আক্তার প্রমুখ। অপর দিকে প্রতিষ্ঠানের জান্নাতির ক্লাসের ম্যাডাম মোছাঃ মমতাজ বেগম বলেন, জান্নাতি ছিল একজন নরম, ভদ্র প্রকৃতি ও মেধাবী ছাত্রী। ক্লাসের টিফিন হওয়ার পরেই দৌড়ে এসে আমাকে বলতেন ম্যাডাম আপনার জন্য আজ চকলেট এনেছি। আবার অন্য দিন বলতো আজ তেতুল এনেছি।

লেখাপড়ার দিক থেকে ক্লাসে সবার চেয়ে এগিয়ে ছিল। সে সুন্দর লেখতো ও সুন্দর পড়া দিত। মাদ্রাসা বন্ধ মাদ্রাসা খুললে কে দিবে এ সমস্ত। ম্যাডাম তার কথা বলতে বলতে দুখের নয়নে পানি ঝড়তে দেখা যায়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তার লাশ গ্রামের বাড়ীতে আসার সাথে সেখানে এক হৃদয় বিদায়ক দৃশ্য দেখা যায়। বাদ এশা পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।