সংক্রমণের ঝুঁকি ঠেকাতে টোকিও অলিম্পিকে বিদেশি দর্শকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

সুপ্রভাত বগুড়া (খেলা-ধুলা): করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে টোকিও অলিম্পিকে বিদেশি দর্শকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। একই নিষেধাজ্ঞা থাকছে প্যারালিম্পিকেও বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটি। অলিম্পিক আয়োজক কমিটি শনিবার এক বিবৃতিতে জানায়, বিদেশি নাগরিক যারা অলিম্পিক ও প্যারালিম্পিকের টিকেট কিনেছেন তাদের অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রধান টমাস বাখ, টোকিও গভর্নর ইউরিকো কোয়িকেসহ পাঁচ পক্ষের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। টোকিও অলিম্পিক হওয়ার কথা ছিল গত বছর। তবে বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ রোগের বিস্তারে প্রতিযোগিতাটি এক বছরের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্যারালিম্পিকও স্থগিত হয়ে যায়।

Pop Ads

নতুন সূচিতে আগামী ২৩ জুলাই শুরু হয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ শেষ হবে ৮ অগাস্ট। আর প্যারালিম্পিক শুরু হবে ২৪ অগাস্ট, চলবে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এদিকে বিশ্বে একদিনে করোনায় ৮ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ব্রাজিলেই মারা গেছে ২ হাজার ৩শ ৩১ জন। এনিয়ে বিশ্বে করোনায় প্রাণহানি ছাড়াল ২৭ লাখ ২২ হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৪ লাখের বেশি।

করোনার সংক্রমণ রুখতে আবারো কড়াকাড়ি বাড়ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। ফ্রান্স, পোল্যান্ডের পর নতুন করে আংশিক লকডাউন জারি করা হয়েছে ইউক্রেনে। শনিবার থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে রাজধানী কিয়েভের সব মার্কেট, শপিংমল, জাদুঘর ও থিয়েটার। রোগীর ঢল সামলাতে আবারো হিমশিম খাচ্ছে ইতালির হাসপাতালগুলো। যুক্তরাষ্ট্রে একদিনে প্রাণ গেছে প্রায় ৮শ জনের।একদিন আগেও এই সংখ্যা ছিল ১২শোর বেশি।

প্রথম সংক্রমণ শুরুর পর রোববার একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে চিলিতে। বিশ্লেষকরা বলছেন মোট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশকে টিকার আওতায় আনা না গেলে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়। এপর্যন্ত দেশটিকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার হার ২৯ শতাংশ। আর দুইটি ডোজ নিয়েছে ১৫ শতাংশ মানুষ।

সংক্রমণ বাড়ায় আবারো বন্ধ করা হয়েছে ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোর সমুদ্রসৈকত। ২০২০ সালের জুলাইতে খুলে দেয়ার পর শনিবার নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। চার মাস পর একদিনে ৪৩ হাজার নতুন রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে ভারতে।

করোনা আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী, উধভ ঠাকরের ছেলে আদিত্য ঠাকরে। সংক্রমণ রোধে মুম্বাইয়ের প্রত্যেকটি জনবহুল এলাকায় করোনার নমুনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে কর্তৃপক্ষ। সংক্রমণ রোধে সরকারের নানা কড়াকড়ির বিপক্ষে বিক্ষোভ হয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে।