গ্যাসট্রিক থেকে শুরু করে জীবনরক্ষাকারী সব ওষুধের সমাহার রাজধানীর মিটফোর্ডে। প্যাকেট দেখে বোঝার উপায় নেই সবই নকল। এখান থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে আটা-ময়দা বা সুজি দিয়ে তৈরি এ নকল ওষুধ।
কথিত এক রসায়নবিদকে সঙ্গে নিয়ে ঢাকায় এমন নকল ওষুধের কারখানা গড়ে তুলেছিলো ফয়সাল মোবারক নামের যুবক। রাজধানী ও কয়েকটি জেলায় অভিযান চালিয়ে নকল ওষুধ চক্রের আট সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, দেশজুড়ে এরকম আরও কয়েকটি চক্র সক্রিয়।
করোনা মহামারির মধ্যে দেশে একটি চক্র নকল ওষুধ তৈরি ও বাজারজাত করছে এমন তথ্যে ঢাকা, সাভার ও পিরোজপুরে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তার করে চক্রের ৮ সদস্যকে। জিজ্ঞাসাবাদে সন্ধান মেলে নকল ওষুধ তৈরির কারখানার।
ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, আটা-ময়দা, সুজির মিশ্রণ আর নিম্নমানের উপাদান দিয়ে তৈরি নকল ওষুধ। যা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে ব্যবহার করতো কুরিয়ার সার্ভিস।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, চক্রটির মূল হোতা ফয়সাল মোবারক। যিনি এক সময় ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পাশাপাশি কাজ করতেন মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে।এই চক্রটির হাত ধরেই মিটফোর্ড হয়ে নকল ওষুধ ছড়িয়ে পড়তো সারা দেশে।
জেনে শুনে যেসব দোকানদার এসব নকল ওষুধ বিক্রি করছে তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।