সুইস ব্যাংকে পাচারের টাকা ফিরিয়ে আনার কাজে অগ্রগতি দেখতে চায় হাইকোর্ট

সুইস ব্যাংকে পাচারের টাকা ফিরিয়ে আনার কাজে অগ্রগতি দেখতে চায় হাইকোর্ট

শুধু চিঠি চালাচালি নয়, সেল গঠন করে পাচার হওয়া টাকা ফিরিয়ে আনার কাজে অগ্রগতি দেখতে চায় হাইকোর্ট। দরকারে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করা যায় কিনা তাও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। বুধবার সকালে আদালতে এসে ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদনের জন্য ক্ষমা চান আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মাসুদ বিশ্বাস। পরে শুনানিতে তার উদ্দেশে এসব কথা বলে আদালত।

সুইস ব্যাংকে টাকা পাচার নিয়ে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার (বিএফআইইউ) প্রতিবেদন ত্রুটিপূর্ণ বলে মঙ্গলবার ফিরিয়ে দেয় হাইকোর্ট। এরপর তলব করা হয় সংস্থাটির প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে। তলবে সাড়া দিয়ে বুধবার সকাল ১০টায় আদালতে আসেন তিনি। প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষার পর বেলা সোয়া ১২টায় শুরু হয় শুনানি।

Pop Ads

এ সময় অসাবধানতাবশত ভুল হয়েছে স্বীকার করে আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চান তিনি। আগামীতে এমন গাফিলতিতে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করে হাইকোর্ট। শুনানিতে আদালত বলেন, শুধু চিঠি আর প্রতিবেদন চালাচালি না করে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে হবে।

ভারতের রাম জেড মালানির রায়ের কথা উল্লেখ করে, অর্থ উদ্ধারে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করা যায় কি না, সে বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় বিএফআইইউ প্রধানকে। এর আগে এক বৈঠকের কথা উল্লেখ করে, সুইস রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে আদালতকে জানান দুদক আইনজীবী।

তবে এ নিয়ে কোনো প্রতিবেদন না থাকায়, ব্যক্তিগত মৌখিক অভিমত গ্রহণযোগ্য নয় বলে নাকচ করে হাইকোর্ট।