স্বাস্থ্য খাতের ৭জনকে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকে তলব

সুপ্রভাত বগুড়া ডেস্ক: টানা দুই দশক স্বাস্থ্য খাতের কেনাকাটায় আধিপত্য বিস্তারকারী ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু এবং জেএমআইয়ের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকসহ সাতজনকে দুর্নীতির অভিযোগে ৮ ও ৯ জুলাই তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদক। দুদকে তলব পাওয়া অন্যদের মধ্যে রয়েছেন তমা কনস্ট্রাকশনের সমন্বয়কারী (মেডিক্যাল টিম) মো. মতিউর রহমান, এলান করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম আমিন, মেডিটেক ইমেজিং লিমিটেডের পরিচালক মো. হুমায়ুন কবির।

মাস্ক ও পিপিইসহ নিম্ন মানের স্বাস্থ্য সরঞ্জাম কেনাকাটাসহ বাজেট প্রণয়ন, দরপত্রের নিয়ম নির্ধারণ, সরবরাহ সবকিছুতেই নিয়ন্ত্রণ করেন মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু। বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে বসেই নিয়ন্ত্রণ করছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেনাকাটা। তার বিরুদ্ধে গিয়ে টিকতে পারেন না কেউই। সম্প্রতি করোনার সুরক্ষা সরঞ্জাম কেনাকাটায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর বিরুদ্ধে।

Pop Ads

সিন্ডিকেটের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মিঠু, এমন দাবি কেন্দ্রীয় ঔষধাগার- সিএমএসডির সদ্য সাবেক পরিচালকের। ১৯৯১ সালে মিঠু সিন্ডিকেটের কার্যক্রম শুরু হলেও ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় স্বাস্থ্য বিভাগে পাকাপোক্ত হয় তার অবস্থান।

গত নভেম্বর পর্যন্ত মিঠুর মালিকানাধীন ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ, নর্থ বেঙ্গল পোলট্রিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। রংপুর শহরে মায়ের নামে কলেজ ও বাবার নামে হাসপাতাল এবং বিলাসবহুল বাড়িসহ অন্তত ১০টি বহুতল ভবনের মালিক মিঠু। এসব স্থাপনার বেশির ভাগ জমিই দখল করে নির্মিত বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

এছাড়া মহিপুর ইউনিয়নে রয়েছে তার হাজার বিঘা জমি। অনিয়ম আড়াল করতে প্রতি বছর নতুন নামে প্রতিষ্ঠান খোলেন মিঠু। আর তাকে সহায়তার অভিযোগ রয়েছে দুদকের একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এ অবস্থায় সিন্ডিকেট ভাঙতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মতো পদক্ষেপ চান খোদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য।

মিঠুর বক্তব্য জানতে রাজধানীর বনানীতে তার মালিকানাধীন লেক্সিকন মার্চেন্ডাইজের ঠিকানায় গিয়ে পাওয়া যায়নি কাউকে। অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমানে মিঠু বিদেশে থাকলেও তার ব্যবসা সামলাচ্ছেন হুমায়ুন কবির পিটু নামের এক সহযোগী। তাদের বর্তমান কোম্পানি মেডিটেক ইমেজিং। বনানীর ১৭ নম্বর রোডের একটি ভবনের চতুর্থ তলায় ছোট অফিস থেকেই চলছে হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here