২২ এপ্রিল থেকে সারা দেশে মার্কেট ও দোকান খোলা রাখার দাবিতে রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

সুপ্রভাত বগুড়া (অর্থ ও বানিজ্য): ২২ এপ্রিল থেকে সারা দেশে মার্কেট ও দোকান খোলা রাখতে চান খুচরা ব্যবসায়ীরা। এ দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন তারা। একই দাবিতে আজ রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ২০টি সংগঠন।

এ তথ্য জানিয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দোকান মালিক সমিতিসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ২০টি সংগঠনের দাবি হলো, এ রমজানে পণ্য বিক্রির সুযোগ দেওয়া হোক। আমরা শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট ও দোকান খোলা রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

Pop Ads

এখন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি বিপদে আছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানো সবার নৈতিক দায়িত্ব। কারণ গত বছর বৈশাখ ও দুই ঈদে ব্যবসা হয়নি। যেটুকু সময় মার্কেট ও দোকান খোলা ছিল সে সময়টুকুতে           বিকিকিনি তেমন ছিল না।’ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ পোশাক প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন মালিক বলেন, ‘গত বছর পয়লা বৈশাখ ও ঈদের সময় লকডাউনের কারণে কোনো পণ্য বিক্রি হয়নি।

এবার লকডাউনের কারণে যদি পণ্য বিক্রি করতে না পারেন তাহলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে। কর্মচারীতে পরিণত হবেন অনেক মালিক। তাই এ রমজানে ১৫ দিনের জন্য হলেও মার্কেট ও দোকান খোলা রাখতে চাই।’ বাংলাদেশ এসএমই ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলী জামান বলেন, সীমিত পরিসরে হলেও শিল্পের পরিপূরক হিসেবে কিছু প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া উচিত। কারণ শিল্পে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে হবে।

দোকান মালিক সমিতির তথ্যমতে, করোনাভাইরাস মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত সারা দেশের ৫৩ লাখ ৭২ হাজার ৭১৬টি প্রতিষ্ঠানের ক্ষুদ্র, পাইকারি ও খুচরা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিটিতে গড়ে রয়েছেন ১৫ জন কর্মচারী। কিন্তু এখন দোকান বন্ধ থাকায় তারা কিছু করতে পারছেন না। এসব দোকানে প্রতিদিন গড় বিক্রির পরিমাণ ২০ হাজার টাকা, যা থেকে ১০ শতাংশ লাভ করেন মালিকরা।

এদিকে ২২ এপ্রিল থেকে সারা দেশে মার্কেট ও দোকান খোলার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। সংগঠনটির সভাপতি হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়, সারা দেশের ৫৩ লাখ ৭২ হাজার ৭১৬টি ক্ষুদ্র, পাইকারি ও খুচরা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা ২ কোটি ১৪ লাখের বেশি।

তাদের ঈদের সময় এপ্রিল ও মের বেতনের সঙ্গে বোনাসসহ গড়ে ৪৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে। তাতে মোট বেতনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯৬ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা। গত এক বছরে করোনার আঘাতে দোকান মালিকরা কর্মচারীদের বেতন প্রদানের ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন।