সিদ্ধান্ত আসছে আগামীকাল ………
সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): করোনার কারণে ঈদুল ফিতর কেটেছে সাদামাটা ভাবে। এবার ভাবনা ঈদুল আযহা ঘিরে। যার সবচেয়ে বড় উপলক্ষ্য কোরবানি পশুর হাট নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে কাল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণের মধ্যে, হাট বসলে তা হবে আত্মঘাতী।
যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা মোটেই সম্ভব নয়, বরং উল্টো ঝুঁকির সম্ভাবনাই বেশি। করোনা ভাইরাসের মহামারি এলোমেলো করে দিয়েছে জীবন-জীবিকা। ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর কেটেছে সাদামাটাভাবে। ইতোমধ্যে সংকুচিত হয়েছে হজের পরিধি।
এমন প্রেক্ষাপটে কড়া নাড়ছে ঈদুল আযহা। সঙ্গে এসেছে কোরবানির পশুর হাটের প্রসঙ্গটিও। এরইমধ্যে রাজধানীর দুই সিটিতে প্রকাশ করা হয়েছে হাট ইজারার বিজ্ঞপ্তি। শুরুতে স্বাস্থ্যবিধির কথা উল্লেখ না হলেও পরে তা যুক্ত হয়।
কোরবানির সময় এলেই এই গরুর হাটগুলোর বিস্তৃতি হয় বহুগুনে, থাকে উপচেপড়া মানুষের ভিড়। কিন্তু করোনা মহামারির এই সময়ে খোলা আকাশের নিচে এই হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা কতটুকু সম্ভব, সে প্রশ্ন থেকেই যায়। এই শঙ্কার পেছনে বিশেষজ্ঞদের যুক্তিও রয়েছে ঢের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা অসম্ভব প্রায়। উল্টো ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। গরুর হাটের বিপক্ষে করোনা বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান।
এমন পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছেন মেয়র ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এর আগে স্বাস্থ্যবিধি মানার কথা বলে গণপরিবহন, শপিং মল খুলে দেয়া হলেও তা কতটা কার্যকর হয়েছে তা নিয়েও আছে প্রশ্ন।