সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): দেশের আকাশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে অনুযায়ী ভোর হলেই পালিত হবে মুসলিমদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। রোববার সন্ধ্যায় খুলনা ও ফেনীর আকাশে চাঁদ দেখা যায়। ঈদ উপলক্ষে ঘরে ঘরে নানা প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।
এর আগে শনিবার দেশের কোথাও শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সে কারণে সোমবার সারা দেশে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে বলে জানিয়েছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এক মাস রোজা শেষে শাওয়াল মাসের ১ তারিখে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়।
ঈদ মানেই আনন্দ। কিন্তু এবারের ঈদে আনন্দের আবহ নেই। খুশির জোয়ারও নেই। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও থমকে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাপন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত দুই মাসে অনেকেই চিরতরে বিদায় নিয়েছেন। মা-বাবা, ভাই-বোন, স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, বন্ধু, প্রতিবেশীসহ প্রিয়জন হারানোর ব্যথা এখনো মুছে যায়নি। যাদের স্বজন হাসপাতালে রোগ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে তাদের জন্য নিশ্চয় এবারের ঈদ খুশি বয়ে আনতে পারেনি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিকাংশ মানুষই ঘরবন্দি। স্বজনদের কাছ থেকে দূরে। এমন পরিস্থিতিতে দেশে এই প্রথম পালিত হচ্ছে ঈদ। এবার ভিন্ন আবহে ঈদ উদযাপন করবে মুসলমানরা। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এবার ঈদগাহর পরিবর্তে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত।
১৩ দফা শর্ত মেনে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে বলছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এসব শর্তে বলা হয়েছে- নামাজের সময় মসজিদে গালিচা বিছানো যাবে না; নামাজের আগে পুরো মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে; জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে মুসল্লিদের;
সবাইকে মাস্ক পরতে হবে; মসজিদে প্রবেশের আগে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে; মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না; নামাজের কাতারে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।