ভুমি অফিসের রহস্যজনক নীরবতা !
সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব): বগুড়ার শাজাহানপুরে আড়িয়া ইউনিয়নের বি-বøক থেকে বৃ-কুষ্টিয়া রোডে সরকারি পাকা রাস্তা দখল করে চলছে দেয়াল নির্মান কাজ। আর এভাবে নির্মান কাজ করার কারন জানতে চাইলে জমির মালিক জানান, উপজেলা ভুমি অফিস এসব জানে। তাদেরকে ম্যানেজ করেই নির্মান কাজ করছি। তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন উপজেলা সহকারী ভুমি কমিশনার আশিক খান।
জানাযায়, ওই সড়কটি উপজেলার পুর্বাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষের অফিসে, হাসপাতাল, সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও জেলা শহরে যাাতায়াতের একমাত্র পথ। বিধায় দিনরাত ২৪ ঘন্টা পরিবহন চলাচল করে এ পথে। আর অতি গুরুত্বপুর্ণ এ রাস্তাটি সকলের চোখের সামনে এভাবে প্রকাশ্যে দখল করলেও ব্যাব্স্থাা নেয়া হচ্ছেনা।
শুধু এটিই নয়, এমনিভাবে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক দখল করে একের পর এক অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছে টাউট, বাটপাররা। ফলে উপজেলার বেশির ভাগ সড়ক এখন সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে।
এসব কারণে দৈনন্দিন যাতায়াতে জনগণের দুর্ভোগ ও ভোগান্তি সীমাহীন হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ভুমি অফিসের ঘুম ভাংবে কে ? এমন প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার সাধারন জনগন। সোমবার ২৮ মার্চ সরেজমিনে দেখাযায়, বি-বøক থেকে বৃ-কুষ্টিয়া পাকা সড়কটির কার্পেটিং ঘেষে দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলছে দেয়াল নির্মানের কাজ। বিষয়টি নিয়ে জমির মালিক মৃতঃ হাবিব মিয়ার ছেলে রুবেল এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভুমি অফিসের লোকজনের সাথে কথা বলে দেয়াল নির্মান করছি।
তারা বলেছে কেউ দেখার আগেই তাড়াতাড়ি নির্মান কাজ শেষ করতে। এছাড়া অফিসের দুইজন লোক এসে দেখে গেছে। তারা বলেছে তাড়াতাড়ি কাজ শেষ করতে এবং অসুবিধা হলে তারা সব দেখবেন। এদিকে অবৈধভাবে সড়ক দখল এবং ভুমি অফিসের অনুমতির বিষয়ে জানতে চাইলে শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী ভুমি কমিশনার আশিক খান বলেণ, বিষয়টি জানা নেই তবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে প্রকাশ্যে উপজেলার অনেক সড়ক দখল করে রাস্তা সংর্কীণ করা হলেও অুমি অফিসের চোখে পরেনা কেন। এমন প্রশ্ন উপজেলার সাধারন জনগনের। তারা বলেছেন, ভুমি অফিনের রহস্যজনক নীরবতায় উপজেলার মাঝিড়া-দুবলাগাড়ী সড়ক, টেংগামাগুর-নয়মাইল সড়ক, বীরগ্রাম-মাঝিড়া সড়ক, নয়মাইল-আমরুল ইউপি সড়ক, নয়মাইল-দাড়িগাছা সড়ক, আড়িয়াবাজার-ডেমাজানি সড়ক, মাদলা-জালশুকা-বাগবাড়ী সড়ক এবং কাটাবাড়িয়া, রাণীরহাট-শাবরুল, বনানী ও গন্ডগ্রাম এলাকার সড়কসমূহ দখলদারদের কব্জায় পড়ে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। দুটি পরিবহণ দুদিক থেকে একসঙ্গে চলাচল করতে পারছে না।
এতে করে শুধু জনসাধারণের ভোগন্তি হচ্ছে না, জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্যসেবায় এ্যাম্বুলেন্সে রোগী পরিবহণ, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, প্রশাসনের গাড়ি ও থানা পুলিশের গাড়ি যাতায়াতে বিলম্ব ও হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর দিনের পর দিন সরকারী সড়কগুলোতে এভাবে দখল চলমান থাকলেও কর্তাদের ঘুম ভাঙছে না কিছুতেই। দিনদুপুরে এভাবে দখল বানিজ্য চললেও দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ নেই।
এসব তথ্যের ভিত্তিতে দেখাগেছে, উপজেলার মাঝিড়া থেকে দুবলাগাড়ী সড়কটি প্রস্থে প্রায় ২৬ ফুট, কোথাও আরও বেশি। কিন্তু সরেজমিনে ১৮ ফুটও নেই। কাটাবাড়িয়া মোড়ে ৩০ ফুট প্রস্থের সড়কটি এখন ১৮ ফুট হয়ে পড়েছে। নয়মাইল স্ট্যান্ডের দাড়িগাছা সড়কটি প্রস্থে ৩৬ ফুট হলেও এখন ২০ ফুটও নেই।
স্থানীয়রা বলছেন, চোখের সামনে সড়ক দখল চললেও কর্তাদের নীরবতায় দখলের আগ্রাসনে সংকীর্ণ হচ্ছে সড়ক। জনসাধারণও দুর্বৃত্তদের ভয়ে মুখ খোলে না। দেখেও না দেখার ভান করছেন। ফলে অবৈধ দখলকারীদের সাহস ও দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলছে। প্রশ্ন করছেন এসব দেখার দায়িত্ব কার।