বগুড়ার শাজাহানপুরে ধেয়ে আসছে করোনা, সতর্ক থাকার পরামর্শ ইউএনও’র

বগুড়ায় শুরু হচ্ছে ৪র্থ বারের মত ১০ দিনব্যাপী ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসব ও পৌষ মেলা’ ২০২২

সুপ্রভাত বগুড়া (আবদুল ওহাব শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি): বগুড়ার শাজাহানপুরে ধেয়ে আসছে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রাদুর্ভাব। এক সপ্তাহে এ উপজেলায় ৮ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মাঝে শুরু হয়েছে আতংক।

তবে জীবনঘাতী এই করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় জনগনকে নিরাপদে রাখতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভিন।
শনিবার ৯ মে উপজেলার সাজাপুর এবং গন্ডগ্রামে আরও ২ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ওইসব এলাকা লকডউিন ঘোষনা করা হয়।

Pop Ads

এভাবে একের পর এক করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে শাজাহানপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোতারব হোসেন বলেন, লক ডাউন এবং হোম কোয়ারেন্টাইন উপেক্ষা করে এবং লোক চক্ষুকে ফাকি দিয়ে ঢাকা, চট্রগ্রাম, নারায়নগঞ্জ, সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন করোনা প্রবণ এলাকাগুলো থেকে লোকজন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে-গঞ্জে এসেছে।

তারা হোম কোয়ারেন্টাইন ও লক ডাউন নির্দেশ উপেক্ষা করে অবাধে বেপরোয়া চলাচলের কারনে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের গ্রামগুলো হলো- শাজাহানপুরের মাঝিড়া-সাজাপুর, রহিমাবাদ, ফুলতলা, গন্ডগ্রাম এবং কৈগাড়ি।

আক্রান্ত ব্যক্তিদের প্রতিবেশীরা জানান, লকডাউন সত্বেও আক্রান্তরা ঢাকা নারায়নগঞ্জ সিলেট সহ দেশের ভিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক দিন আগে গোপনে রাতের আধারে তারা বাড়িতে এসেছে। কাউকে কোন কিছু না জানিয়ে আশে-পশে ও বাজার ঘাট চলাচল করেছে।

এজন্য প্রতিবেশীরা সহ তাদের সংস্পর্শে আসা লোকজনও ঝুকির মধ্যে পড়েছে। আর এসব বিষয় নিয়ে এলাকার লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েছে।

এভাবে ঢাকা নারায়নগঞ্জ সিলেট ও অন্যান্য এলাকা থেকে আসা লোকজন প্রতিবেশীর বাড়িতে যাতায়াত ও বাজারে চলাচলের কারনে ধেয়ে আসতে শুরু করেছে কোভিড-১৯। তাই নিজেদের প্রয়োজনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলা অত্যাবশ্যক।

নইলে আরও ভয়াবহ অবস্থার দিকে যেতে পারে। এবিষয়ে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা পারভিন বলেন, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত লোকজনের প্রতিটি বাড়ির আশে পাশে ৫-৬ টি বাড়ি লক ডাউন করা হয়েছে।

এছাড়া জনগনকে নিরাপদে রাখতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাড়িতে অবস্থান করতে বলা হচ্ছে এবং একান্ত প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাহিরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here