৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বড় ভূমিকম্প

30
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বড় ভূমিকম্প

পাকিস্তানে ১ থেকে ৩ অক্টোবরের মধ্যে আঘাত হানতে পারে বড় ভূমিকম্প। নেদারল্যান্ডসের ভূকম্পন বিশেষজ্ঞ ফ্রাঙ্ক হোগারবেটস এমন কথা বলেছেন। তার এমন ভবিষ্যদ্বাণীর পর দেশটির সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।

মানুষের উৎকণ্ঠার মধ্যে পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তর সোমবার (২ অক্টোবর) জানিয়েছে, ওই ডাচ বিজ্ঞানীর ‘ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক’ হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই।

Pop Ads

সংবাদমাধ্যম দ্য ডনকে আবহাওয়া দপ্তরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এই ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক হওয়া অসম্ভব কারণ ভূমিকম্প হয় ভূগর্ভস্থ ঝামেলার কারণে। এছাড়া ভূমিকম্প হতে পারে বড় কোনো লেক ও গর্ত সদৃশ্য কাঠামো অথবা পাহাড়ের সমান শিলা গঠনের মাধ্যমে— যেটি অন্য প্লেটে আঘাত হানে।’

এছাড়া বেলুচিস্তান বিশ্ববিদ্যালয়েল পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ডিন দ্বীন মোহাম্মদ বেলুচিস্তানের জিপিএস প্রযুক্তি নিয়ে কথা বলেছেন। এই জিপিএসের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ প্লেটের গতিবিধির ওপর নজর রাখা হয়। তিনি জানিয়েছেন, তারা সেখানে ভূমিকম্প হওয়ার মতো কোনো ইঙ্গিত পাননি।

নেদার‌ল্যান্ডের সোলার সিস্টেম জিওমেট্রি সার্ভের বিজ্ঞানী ফ্রাঙ্ক হোগারব্রিটস গত ২৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানে ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়া নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণীটি করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটারে) তিনি বলেন, বেলুচিস্তান প্রদেশের চামান ফল্টে ভূমিকম্প হতে পারে। চামান ফল্টে ১৮৯২ সালে রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল।

এরপর এক্সে অপর এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমরা বায়ুমণ্ডলীয় ওঠানামা রেকর্ড করেছি। যারমধ্যে পাকিস্তানের অংশও রয়েছে। এটি সঠিক, বিষয়টি একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের আগাম নির্দেশক হতে পারে (যেমনটি হয়েছিল মরক্কোর ক্ষেত্রে)। কিন্তু আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি না এটি হবেই।’

ফ্রাঙ্ক হোগারব্রিটস এর আগে তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পের ব্যাপারে এ ধরনের আগাম সতর্কতা দিয়েছিলেন।

এছাড়া তিনি গত ৩০ জানুয়ারি পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও চীনে ভূমিকম্প সংঘটিত হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন। এর কয়েকদিন পর ৫ দশমিক ৯ মাত্রার একটি ভূমিকম্পে ইসলামাবাদ, খাইবার পাখতুনখোয়া, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর এবং আশপাশের অঞ্চলগুলো কেঁপে ওঠে।

ভূমিকম্পের আগাম বার্তা দেওয়ার মতো কোনো প্রযুক্তি এখন পর্যন্ত উদ্ভাবন করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা।