৭ হাজার মুরগির বাচ্চা পোড়ানোর ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি

14
৭ হাজার মুরগির বাচ্চা পোড়ানোর ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে চলতি বছরের ৭ ডিসেম্বর দুর্বৃত্তরা একটি কাভার্ড ভ্যানে আগুন দিয়ে ৭ হাজার মুরগির বাচ্চা পুড়িয়ে মারে। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছে প্রাণী ও মানুষ অধিকার আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ রবিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় সংগঠনটি। এ সময় তারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজা শোভা। তিনি বলেন, ‘মানবাধিকার প্রতিটি প্রাণী ও মানুষের এক ধরনের অধিকার। মানবাধিকার প্রাণী ও মানুষের সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। সিরাজগঞ্জের ঘটনার যেমন সুষ্ঠু বিচার প্রয়োজন তেমনি বেওয়ারিশ প্রাণীদের (কুকুর এবং বিড়াল) সরকারীভাবে সর্বনিম্ন ১ বেলা খাবার, চিকিৎসা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

Pop Ads

পাশাপাশি মৃত প্রাণীদের জন্য কবরস্থানের ব্যবস্থা করা ও প্রাণীদের ক্ষেত্রে অ-আমলযোগ্য মামলাকে আমলযোগ্য করতে হবে। সকল প্রকার প্রাণীদের উপর জুলুম অত্যাচার এবং হত্যা বন্ধ করতে হবে। এছাড়া প্রাণীদের নিয়ে বিদ্রুপ শব্দ ব্যবহার থেকে মানুষকে বিরত থাকতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রাণীর পাশাপাশি মানুষেরও কিছু অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।

পথশিশু, অসহায় নারী ও পুরুষদের সরকারীভাবে সর্বনিম্ন ১ বেলা খাবার, চিকিৎসা, বাসস্থান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে করতে হবে। পতিতাবৃত্তির এলাকায় শিশুদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা এবং পতিতাবৃত্তিতে সম্পৃক্তদের কবরস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া নারীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জনসম্মুখে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে হবে। বেওয়ারিশ, বাক-প্রতিবন্ধী ও মানসিক প্রতিবন্ধী নারীদের চিকিৎসা, বাসস্থান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুষম নাট্য সম্প্রদায়ের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমি একবার লন্ডনে ঘুরতে গেছিলাম।

তো সেখানে আমি যেখানে থাকতাম তার পাশে একটা পার্ক ছিলো। সেই পার্কে কিছু ডাক্তার তাদের ঔষধ সামগ্রী নিয়ে থাকত। ওরা সব সময় ওইখানকার সকল পাখিদের চিকিৎসা করত। ওরা এতো মানবিক তাদের পশু-পাখি ব্যাপারে তা বলার বাইরে। ওরা সকল পাখির হিসাব রাখে সেটা নতুন হোক বা পুরাতন। এই রকম ব্যবস্থাপনা আমাদের দেশে আছে কিনা তা আমার জানা নেই। তবে আমাদের দেশে তো মানুষেরই অনেক সময় হিসেব থাকেনা যে সে কিভাবে আছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শুধু পশু-পাখী না মানুষের ব্যাপারেও তারা অধিক পরিমাণে মানবিক। তাদের পুলিশও কখনো কাউকে গায়ে হাত তুলে কথা বলে না। মানুষে-মানুষের মধ্যে হানাহানি নাই বললেই চলে। আমরা কি পারি না এই রকম সমাজ গড়ে তুলতে। তো এই রকম মানবাধিকারের আমলে আমাদের কিসের অভাব পড়েছে সেটি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাহলে আমরা সকল ক্ষেত্রেই মানবিকতা অর্জন করতে পারব।’

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আদম রোমসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।