কোন সড়কে কত গতিতে চলবে মোটরসাইকেল

4
কোন সড়কে কত গতিতে চলবে মোটরসাইকেল

সারা দেশে কোন ধরনের সড়কে মোটরসাইকেল সর্বোচ্চ কত গতিতে চলতে পারবে, তা নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চালানো যাবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে, জাতীয় মহাসড়কে ৫০, আঞ্চলিক মহাসড়কে ৪০, ঢাকাসহ সিটি করপোরেশনভুক্ত এলাকায় ৩০ এবং শহরের সংকীর্ণ সড়কে সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চালানো যাবে।

মূলত গতিসীমা নির্ধারণ করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, সড়কে চলা গাড়ির বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে আনা। তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এতে সড়কে শৃঙ্খলা না ফিরে বরং গতির ভিন্নতার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

Pop Ads

মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা-২০২৪ অনুযায়ী গতকাল বুধবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিআরটিএ। গতিসীমার তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি ৮০ কিলোমিটার এবং সর্বনিম্ন ৫০ কিলোমিটার। এ ক্যাটাগরির জাতীয় মহাসড়কে সর্বোচ্চ গতি ৮০ কিলোমিটার এবং সর্বনিম্ন গতি ৫০ কিলোমিটার। বি ক্যাটাগরির জাতীয় মহাসড়কে সর্বোচ্চ গতি ৭০ কিলোমিটার, সর্বনিম্ন ৪৫।
জেলা সড়কে সর্বোচ্চ গতি ৬০ কিলোমিটার, সর্বনিম্ন ৪০।

সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, জেলা সদরের মধ্য দিয়ে ব্যবহৃত জাতীয় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি ৪০ কিলোমিটার, সর্বনিম্ন ৩০। জাতীয় মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়ক ছাড়া সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও জেলা সদরের অভ্যন্তরীণ সড়কে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতি ৪০ কিলোমিটার এবং সর্বনিম্ন ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।

উপজেলা মহাসড়কে সর্বোচ্চ গতি ৪০ কিলোমিটার, সর্বনিম্ন ৩০।
শহর এলাকায় প্রাইমারি আরবান সড়কে সর্বোচ্চ গতি ৪০ কিলোমিটার, সর্বনিম্ন ৩০। শহর এলাকায় সংকীর্ণ/সংযোগ সড়ক ও অন্যান্য সড়কে সর্বোচ্চ গতি ৩০ কিলোমিটার, সর্বনিম্ন ২০ এবং গ্রামীণ সড়কে গতি গড়ে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।

জানতে চাইলে বিআরটিএর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানী বলেন, ‘প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে গতিসীমার বাস্তবায়ন নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের সড়কের নকশা অনুযায়ী নির্ধারণ করা গতি ঠিক আছে।’

একইভাবে যাত্রীবাহী গণপরিবহন, পণ্যবাহী যান, ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যদিও অ্যাম্বুল্যান্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোর মতো জরুরি সেবামূলক গাড়িগুলো এ আইনের আওতামুক্ত থাকবে। আবার জরুরি পরিস্থিতিতে সব গাড়ির ক্ষেত্রে আইন শিথিল থাকবে।