জানুয়ারি মাসে চীনের উৎপাদনে সংকোচন

2
জানুয়ারি মাসে চীনের উৎপাদনে সংকোচন


চীনের উৎপাদন কার্যক্রম জানুয়ারি মাসে টানা চতুর্থ মাসের মতো সংকুচিত হয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের উৎপাদন খাতের সূচক পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স (পিএমআই) জানুয়ারি মাসে অবশ্য কিছুটা বেড়েছে।

ডিসেম্বরে যার মান ছিল ৪৯, জানুয়ারি মাসে তা বেড়ে হয়েছে ৪৯.২। কিন্তু তারপরও পিএমআই সূচকের মান ৫০-এর নিচে। সাধারণ হিসাব অনুসারে, পিএমআই সূচকের মান ৫০-এর ওপরে থাকলে ধরে নেওয়া হয়, উৎপাদন বেড়েছে। এর নিচে থাকার অর্থ হলো, উৎপাদন সংকুচিত হয়েছে। অর্থাৎ চীনের অর্থনীতি এখনো কোভিড-১৯-এর প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি। সেই সঙ্গে দেশটির চান্দ্র নববর্ষের প্রভাবের কারণেও উৎপাদন সংকুচিত হয়ে থাকতে পারে বলে রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে।

Pop Ads

আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি দেশটির বৃহত্তম উত্সব চান্দ্র নববর্ষ উদ্যাপিত হবে। উত্সবের আগে কারখানাগুলো শ্রমিকদের ছুটি দিয়ে থাকতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সবচেয়ে আশঙ্কার কথা হলো, চীনের রপ্তানি পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া।

এনবিএসের জরিপে দেখা গেছে, জানুয়ারি মাসে চীনের নতুন পণ্য রপ্তানির সূচকের মান ছিল ৪৭.২, টানা ১০ মাস ধরে যা কমেছে। দেশটির জিডিপির ৩০ শতাংশ আসে আবাসন খাত থেকে, কিন্তু সেই আবাসন খাতের অবস্থা ভালো নয়। যেখানে বিশ্বের অনেক দেশ এখনো উচ্চমূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করছে, তখন চীনে চলছে মূল্য সংকোচনের চাপ। বৈশ্বিক অর্থনীতির চাহিদা কমে যাওয়ায় দেশটির অর্থনীতি চাপে পড়েছে। কারণ চীন এখনো অনেকটা রপ্তানিনির্ভর। তবে চীনের উৎপাদন খাত সংকুচিত হলেও দুই মাস পর সেবা খাত প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরেছে, কিন্তু নির্মাণ খাতের পিএমআই সূচক প্রবৃদ্ধির হার খুবই কম।

তবে চীনের জন্য সুখবর হলো, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি বছরে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বৃদ্ধি করেছে। অক্টোবর তাদের পূর্বাভাস ছিল ৪.২ শতাংশ, জানুয়ারির পূর্বাভাসে তারা সেটা করেছে ৪.৬ শতাংশ। মূলত দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার অর্থনীতিতে বড় ধরনের প্রণোদনা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার বদৌলতে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস বৃদ্ধি করেছে আইএমএফ।