প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর: সম্ভাবনা কুশিয়ারা নদীর পানি বন্টনসহ ৭টি সমঝোতা চুক্তির

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কুশিয়ারা নদীর পানি বন্টনসহ ৭টি সমঝোতা চুক্তি সই হবার সম্ভাবনা

রাশিয়া নয়, ভারত থেকে জ্বালানি তেল কেনার চিন্তা করছে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে এ নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রোববার বিকেলে মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জানান, কুশিয়ারা নদীর পানি বন্টনসহ ৭টি সমঝোতা চুক্তি সই হবে ঢাকা ও দিল্লির মধ্যে। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক অনিষ্পন্ন ইস্যুগুলোও নিষ্পত্তির ইতিবাচক অগ্রগতি হতে পারে বলেও জানান মন্ত্রী।

আগামীকাল সোমবার ৪ দিনের সরকারি সফরে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার দিল্লিতে হায়দ্রাবাদ হাউজে নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, এই সফরে গুরুত্ব পাবে জ্বালানি সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বেশ কয়েকটি ইস্যু। দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা চুক্তিও সই হবে।

Pop Ads

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সুসম্পর্ক সার্বিকভাবে আরও এগিয়ে নিতে নতুন নতুন উদ্যোগ নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি এবং বিদ্যমান গতিশীল সম্পর্ক আরও সুসংহত করবে বলে আশা করা যায়।’

‘দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি যেমন- দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, জনযোগাযোগ, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন, নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সীমান্ত সুরক্ষা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, মাদক চোরাচালান ও মানব পাচার রোধ ইত্যাদি বিষয় বিশেষ গুরুত্ব পাবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিশেষ উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই সুসম্পর্কের কল্যাণে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে স্থলসীমা ও জলসীমার মতো বিষয়গুলো সমাধানের ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। এ ছাড়া আরও দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুও সমাধান হয়েছে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে।

রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কিনছে ভারত। সেই তেল বাংলাদেশ দিল্লি থেকে কিনবে কি না এ প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, তৃতীয় কোনো দেশের তেল ভারতের মাধ্যমে কেনার পরিকল্পনা নেই বাংলাদেশের। তাই রাশিয়ার নয়, সরাসরি ভারত থেকে জ্বালানি পণ্যটি কেনা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে এ নিয়ে আলোচনা হবে।

এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত উদ্যোগ ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি-আইপিএস বা কোয়াড নিয়ে আলোচনা হবে কি না। এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরে এজেন্ডায় না থাকলেও দিল্লি চাইলে আলোচনা হতে পারে।