প্রেম করে বিয়ে, স্বামীর সঙ্গে অভিমানে আত্মহত্যা

62
প্রেম করে বিয়ে, স্বামীর সঙ্গে অভিমানে আত্মহত্যা

রাজধারীর উত্তরায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে হুমায়রা আলম আফরা (২৭) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টর ১২ নম্বর রোডে স্বামীর ভাড়া বাসায় এ ঘটনাটি ঘটে।

স্বামী আশরাফ আবিদ তিনি উত্তরায় অবস্থিত আমিন ডিজাইন কনসালটেন্টে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত।

Pop Ads

মৃতা বাবার নাম মাহবুব আলম মোটরপার্টস ব্যবসায়ী ঢাকার বনানীর ১৫ নম্বরের স্থায়ী বাসিন্দা।

এক ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল বড়।
মৃতের স্বামী আবিদ বলেন, গত দেড় বছর পূর্বে সম্পর্কের মাধ্যমে হুমায়রার সঙ্গে বিবাহ হয়। বুধবার বিকেলে অফিস থেকে এসে আমি কম্পিউটারে বসে ছিলাম আমার স্ত্রী ইফতার বানানোর কাজে ব্যস্ত ছিল সে সময় আমাকে কাজের সহযোগিতা করতে ডেকেছিল আমি শুনতে পাইনি।

পরে এ নিয়ে আমার সঙ্গে অনেক রাগারাগি দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়।

হঠাৎ সে পাশের রুমে গিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। পরে বাসার আশেপাশের লোকজন এবং কেয়ারটেকারের সহযোগিতায় সেখান থেকে নামিয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিক্যালে নিয়ে যাই। পরে সেখান থেকে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বামীর দাবি তার স্ত্রী ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

মৃতার বাবা মাহবুব আলম অভিযোগ করে বলেন, তার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তারা সম্পর্ক করে বিয়ে করলেও মেনে নিয়েছি বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে বিভিন্ন সময় সামান্য বিষয় নিয়ে মেন্টালি টর্চার, মারধর করত আবিদ।

আমার মেয়েটি তা মেনে নিয়েও হাসিখুশি ভাবেই সংসার করতো বিকেলেও আমি মেয়েকে মার্কেট করার জন্য বিকাশে টাকা পাঠিয়েছি। সন্ধ্যার দিকে মেয়ের স্বামী আবিদ মোবাইলে বলে সে সুইসাইড করেছে।

পরে উত্তরা আধুনিক হাসপাতাল থেকে মেয়েকে নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বাবার দাবি মেয়েকে সে পিটিয়ে হত্যা করেছে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। আবিদের বিচার চাই ওই আবিদ আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে আমি আইনের আশ্রয় নেব।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মৃতদেহটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট উত্তরা পশ্চিম থানায় অবগত করা হয়েছে।