সুপ্রভাত বগুড়া (শিমুল হাসান, আদমদীঘি, (বগুড়া) প্রতিনিধি): দেশে করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বল্পপরিসরে যাত্রী নিয়ে যানবাহন চলাচলের নির্দেশনা থাকলেও বগুড়ার আদমদীঘিতে সিএনজি ও চার্জারচালিত অটোরিকশা চালকরা সেসব নির্দেশনা আর মানছেন না। মাস্ক না পরেই প্রতিটি সিএনজিতে গাদাগাদি করে পাঁচজন ও অটোচার্জারে ৮ থেকে ১০ জন করে যাত্রী বহন করছেন।
এছাড়া প্রতিযাত্রীর নিকট থেকে অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করা হচ্ছে। ফলে নিরুপায় যাত্রী সাধারণ গাদাগাদি করে আসনে বসছেন এবং বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত হারে ভাড়া দিচ্ছেন। কোনো যাত্রী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিলে সেই যাত্রীকেই উল্টো হুমকিসহ মানহানিকর কথা শুনতে হচ্ছে। জানা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে জনসাধরণকে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি বেশ কিছুদিন সকল প্রকার যানবাহন বন্ধ ছিল।
সরকার যানবাহন চলাচলে কিছুটা ভাড়া বৃদ্ধি করে সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী বহনে বিধিনিষেধ আরোপ করেন। সরকারি এই নির্দেশের পর বেশ কিছুদিন আদমদীঘি উপজেলা সদর, সান্তাহার, চাঁপাপুর, মুরইল, কৃন্দগ্রাম, ছাতিয়ানগ্রামসহ বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী সিএনজিগুলোতে তিনজন যাত্রী ও অটোচার্জাার (টমটম) গুলোতে পাঁচজন যাত্রী বহন ও দ্বিগুণ হারে ভাড়া আদায় করছিল। এতে যাত্রী সাধারণের ভাড়া বেশি লাগলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই চলাচল করছিল।
ঈদুল ফিতরের আগে থেকে এসব রুটে সিএনজি ও অটোচার্জার চালকরা অধিক অর্থের লোভে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রতিটি সিএনজিতে পাঁচজন ও অটোচার্জারগুলোতে ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী বহন করছে। ভাড়াও আদায় করছে প্রায় দ্বিগুণ হারে। এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে বড় যানবাহনে জরিমানা করলেও নজর নেই এসব ছোট যানবাহনে। ফলে এসব যানবাহনে নজরদারি না থাকায় তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই যাত্রী বহন ও অবাধে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় অব্যাহত রেখেছেন।
রফিক হোসেন নামের এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, গাদাগাদি করে সিএনজিতে আদমদীঘি থেকে সান্তাহারে আসলাম। কিন্তু ভাড়া গুনতে হয়েছে অতিরিক্তই। আদমদীঘির সিএনজির লাইনম্যান রেজাউল ইসলাম জানান, স্ট্যান্ড থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি সিএনজিতে চারজন যাত্রী তুলে দেওয়া হচ্ছে। সান্তাহার সিএনজি ও অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শাহিনুর রহমান মন্টি জানান, প্রতিটি গাড়িচালককে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পরতে বলা হয়েছে।
তাছাড়া যাত্রী বহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা কোনো যাত্রী যেন হয়রানি না হয় সেদিকে আমাদের খেয়াল রয়েছে। আদমদীঘি উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ সাংবাদিকদের জানান, সকল যানবাহনকে সরকারি বিধি মেনে চলতে ভ্রাম্যমাণ আদালত কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় এর মধ্যে কয়েকটি যানবাহনের চালককে জরিমানা করা হয়েছে।