সুপ্রভাত বগুড়া (শিমুল হাসান,(আদমদিঘী, বগুড়া),প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে বি.এইচ.স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজ হিমাগারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিন। সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বাজার ও হিমাগারে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল থেকে বেশ কয়েকটি বাজার ও হিমাগারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সীমা শারমিন অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তিনি অতিরিক্ত দামে আলু বিক্রি না করতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেন।
এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার সান্তাহারে বি.এইচ.স্পেশালাইজড কোল্ড স্টোরেজসহ কয়েকটি স্টোরে অভিযান চালিয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে অনতিবিলম্বে মজুতকৃত অতিরিক্তি আলু বাজারজাত করার নির্দেশ দেন। অন্যথায় মজুদকৃত আলুর মালিকসহ হিমাগার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে মর্মে সতর্ক করে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী ও সমাজসেবা কর্মকর্তা শরিফ উদ্দীন। এদিকে তিনি উপজেলা সদরের কাঁচা বাজার ও সান্তাহার পৌর শহরের বাজারগুলোতে সরকার নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি নিশ্চিত করতে মনিটরিং শুরু করেছেন। কিন্তু এসব ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেলে সরকারের বেঁধে দেওয়া দরে ক্রেতাদের কাছে আলু বিক্রি করছেন।
প্রশাসন চলে গেলে আবারো মূল্য বৃদ্ধি করে দিচ্ছেন। সরেজমিন শুক্রবার সকালে উপজেলা সান্তাহার পুরাতন বাজারে দেখা যায় প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৫ টাকা দরে। অথচ সেখানে প্রশাসন ভোক্তা পর্যায়ে দর বেঁধে দিয়েছেন ৩০টাকা কেজি দরে। ফলে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
এতে অনেককে চাহিদার তুলনায় আলু কম কিনতে দেখা গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সীমা শারমিন বলেন, আলুর দামের উচ্চ মূল্য ঠেকাতে অভিযান অব্যহত রয়েছে। কেউ সিন্ডিকেট করে মূল্য বৃদ্ধি করার চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
