বুড়িগঙ্গা পাড়ের ডকইয়ার্ড পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেয়া হবে : নৌ প্রতিমন্ত্রী

বুড়িগঙ্গা পাড়ের ডকইয়ার্ড পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেয়া হবে : নৌ প্রতিমন্ত্রী

সুপ্রভাত বগুড়া (অর্থ ও বাণিজ্য): রাজধানীর সদরঘাটকে কেন্দ্র করে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গড়ে ওঠা ডকইয়ার্ডগুলো সরিয়ে নেয়া হবে। এজন্য নতুন জায়গা খুঁজছে সরকার। প্রথম পর্যায়ে সদরঘাটের উল্টোপাড়ে দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গড়ে উঠা ৩৩টি ডকইয়ার্ড সরানোর প্রস্তুতি চলছে।

বুড়িগঙ্গা পাড়ের ডকইয়ার্ড পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেয়া হবে : নৌ প্রতিমন্ত্রী

বিআইডব্লিউটিএ বলছে, নদীতীর দখলমুক্ত করা, নদীপথ ঠিক রাখা, নদীদূষণ ঠেকানো আর ডকইয়ার্ডগুলোকে নিয়মের মধ্যে আনতেই এই উদ্যোগ। সদরঘাটের ঠিক উল্টোপাশে নদীতীরে গড়ে উঠেছে সারি সারি ডকইয়ার্ড। এগুলোতে নতুন জাহাজ ও লঞ্চ তৈরির কাজ যেমন চলছে তেমনি চলছে পুরনো জাহাজ মেরামতের কাজও।

Pop Ads

এতে বিঘ্নিত হচ্ছে নদী পথে জাহাজ চলাচল। প্রায় একশো জাহাজ নির্মাণ কারখানা আছে বুড়িগঙ্গা নদী ঘিরে। সদরঘাট থেকে জুরাইন পর্যন্ত নদীর দক্ষিণপাড়ে দুই কিলোমিটার এলাকাতেই আছে ৩৩টি ডকইয়ার্ড। দেশের বিভিন্ন নৌ রুটে চলাচলকারী যানবাহনের বড় অংশই মেরামত করা হয় এসব ডকইয়ার্ডে।

এতে নদীতীর দখল, নদীপথ সংকীর্ণ ও নদীদূষণ হচ্ছে বলে মনে করে বিআইডব্লিওটিএ। তাই এসব ডকইয়ার্ডকে দূরে কোথাও সরিয়ে দিতে চায় তারা। তবে স্থায়ী জায়গা নির্ধারণ ও কারখানা তৈরির উপযোগী করার পরেই ডকইয়ার্ড সরিয়ে নেয়ার পক্ষে এই শিল্পের মালিকরা।

সদরঘাটের সরাসরি ওপারে যে ডকইয়ার্ড রয়েছে সেগুলো আগে স্থানান্তর করা হবে, পর্যায়ক্রমে সবগুলোকে সরিয়ে নেয়া হবে বলে জানান নৌ প্রতিমন্ত্রী। নদী দখল করে যেসব স্থাপনা হয়েছে সব উচ্ছেদ করা হবে বলেও জানান তিনি।