মামুনুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত

সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ড শুনানির সময় আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলেন মামুনুল। এ সময় তিনি আদালতের কাছে ইবাদত করার উপযোগী জায়গায় তাকে রাখার আবেদন জানান। সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৯ মিনিটের দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ।

এদিন ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে মামুনুলের আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Pop Ads

রিমান্ড শুনানি শেষে মামুনুলের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ জানান, মামুনুলের বিরুদ্ধে মুসল্লিদের মসজিদ থেকে এক ব্যক্তিকে বের করে দেওয়া নির্দেশনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। বের করে দেওয়ার সময় তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে নেওয়ার কথাও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মূলত এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। তিনি বলেন, গতকাল গ্রেপ্তারের পর তাকে দীর্ঘসময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

সেজন্য তাকে আর রিমান্ডে নেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে আদালতকে জানিয়েছি। আইনজীবী সৈয়দ মেজবাহ বলেন, এ সময় আদালতের কাছে কথা বলার অনুমতি চান মাওলানা মামুনুল। অনুমতি নিয়ে মামুনুল বলেন, ‘আমি রমজানে নিয়মিত ইবাদত করি, রোজা রাখি। গতকাল আমাকে যেখানে রাখা হয়েছে সেটা বসবাস ও ইবাদতের অনুপযোগী।

আমি আদালতের কাছে আবেদন জানাই, আমাকে যেন ইবাদতের উপযোগী জায়গায় রাখা হয়। তখন আদালত বলেন, আপনাকে ইবাদতের উপযোগী জায়গায় রাখা হবে। আপনার কোনো কষ্ট হবে না, ইবাদতের বিঘ্ন ঘটবে না। ’ গতকাল রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হেফাজত নেতা মামুনুল হককে, যিনি সম্প্রতি এক নারীসঙ্গীসহ নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের হাতে আটক হওয়ার পর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন।