শিবগঞ্জে পরীক্ষার্থীদের কে বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের পছন্দের লোককে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ

সুপ্রভাত বগুড়া (অভিজিৎ বাপ্পি শিবগঞ্জ প্রতিনিধি): বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বাকশন দাখিল মাদ্রাসায় আয়া পদে নিয়োগ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদেরকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়ে সুকৌশলে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একটি পছন্দের লোককে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ।

জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলার বাকশন মাদ্রাসা দাখিল মাদ্রাসায় গত ২৭ নভেম্বর/২০ ইং তারিখে আয়া পদে লোক নিয়োগ করা হবে বলে প্রত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার পরপরেই মোস্তফাপুর গ্রামের জাকিরুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ বুলবুলি খাতুন ঐ পোষ্টের জন্য সুপার ও সভাপতি বরাবরে চাকুরির জন্য লিখিত ভাবে দরখাস্ত করে। এদিকে গত ১৩ এপ্রিল বেলা ১১.০০টার দিকে পরীক্ষা গ্রহণের সময় নির্ধারণ করলেও বিকাল অনুমান ৪.৩০ মিনিটে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

Pop Ads

কিন্তু মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদের জানাই যে, আজ আর সময় নেই। মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরে জানানো হবে বলে তাদেরকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়ে সু-কৌশলে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হাবিবুর রহমান ও সহকারি সুপার বেলাল হোসেনদের যোগ সাজসে মোটা অংকের টাকার বিনিময় ঐ দিনেই তাদের পছন্দের লোককে আয়াপদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়োগের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনিয়া বুলবুলি খাতুন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিপ্তর এর মহাপরিচালকের বরাবরে অভিযোগ করেন।

এদিকে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাদ্রাসার সুপারকে ছুটি দিয়ে সহকারি সুপারের মাধ্যমে নিয়োগ বোর্ড গঠন করে সভাপতি হাবিবুর রহমান মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তার পছন্দের লোক আয়া পদে নিয়োগ করেছেন বলে অভিযোগকারি বুলবুলি খাতুন জানান। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক অনেকে বলেন-বুলবুলি খাতুন একজন মেধাবী ছাত্রী হিসেবে এলাকার সবার কাছে পরিচিত। লিখিত পরীক্ষায় সে ভাল করলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে চাকুরী দিলেন না। চাকুরি দিলেন টাকার বিনিময়ে সভাপতির পছন্দের লোককে।

এলাকার সচেতন লোক বলাবলি করছে যে, এই মাদ্রাসায় মেধার দাম নেই, আছে শুধু টাকার দাম। তাই সচেতন মহল এই নিয়োগ বাতিল করে মেধার মাধ্যমে আবার নিয়োগ দানের জন্য উর্ধতন কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান। এব্যাপারে অভিযোগকারি বুলবুলি খাতুন জানান, আমি লিখিত পরীক্ষায় সবচেয়ে ভাল পরীক্ষা দিয়েছি এবং মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জানান, আজ সময় নেই পরবর্তীতে মৌখিক পরীক্ষা জানানো হবে।

আপনারা বাড়ীতে চলে যান। তাদের কথা মতো আমরা বাড়ীতে যাই। কিন্তু ঐদিন তারা সন্ধ্যার দিকে মোটা অংকের টাকা পেয়ে তাদের পছন্দের লোককে আয়া পদে নিয়োগ দিয়ে থাকে। আমি উক্ত আয়া পদে নিয়োগ নির্বাচনী বোর্ড বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড অধিদপ্তর মহাপরিচালক বরাবরে অভিযোগ করেছি। এব্যাপারে উক্ত মাদ্রাসার সভাপতি হাবিবর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোন ক্রমেই তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।