সাময়িক স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত অভিভাবকরা

6
সাময়িক স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত অভিভাবকরা

তীব্র শীত নিয়মিত স্কুল যাওয়া আসা করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে কোমলমতি শিশুরা। যদিও আবহাওয়া ও শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে, তাতে বিপত্তি কিছু কমেনি। কারণ কতদিন বন্ধ থাকবে স্কুল সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের। ফলে শীত উপেক্ষা করে স্কুলে গিয়ে জানতে হচ্ছে খোলা বা বন্ধের বিষয়ে। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অভিভাবকরা।

তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) গাইবান্ধা জেলার ৭ উপজেলার এক হাজার ৪৯৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রাথমিক স্তরের বেসরকারি অন্যান্য বিদ্যালয়গুলোকেও পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে এ সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন অভিভাবকরা।

Pop Ads

এক সপ্তাহ স্কুল বন্ধ দিলে খুব ক্ষতি হবে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন গাইবান্ধা সদরের মধ্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণিতে অধ্যয়নরত এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।

গাইবান্ধা শহরের কলেজিয়েট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শফিকুল ইসলাম জানান, তীব্র শীতে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাবার পর শুনি আজ ক্লাস বন্ধ। কাল খোলা আছে কিনা সেটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানে না। বাচ্চাকে নিয়ে যদি স্কুল যাওয়া আসা করতেই হয় তাহলে এ বন্ধ রেখে লাভ কি।

আরও পড়ুন: তীব্র শীতে বন্ধ লালমনিরহাটের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়

পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক মাসুদুর রহমান জানান, তাপমাত্রা প্রতি ঘণ্টায় উঠানামা করছে। তাপমাত্রার সঙ্গে স্কুল খোলা বা বন্ধ না করে। শিশুদের স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে কমপক্ষে স্কুল এক সপ্তাহ বন্ধ রাখা উচিত।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শহরের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, বাচ্চারা সকালে কাঁপতে কাঁপতে স্কুলে আসে। দেখে নিজেদেরও খারাপ লাগে। এতো শীতে যেখানে বড়দের বের হওয়া কষ্টকর। সেখানে এসব শিশু বাচ্চা কি করে বের হতে পারে।

গাইবান্ধা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানান, গাইবান্ধা জেলায় ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ও এর নিচে ওটা নামা করছে। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের নির্দেশক্রমে জেলার সব বিদ্যালয়ে সাময়িক পাঠদান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে কতদিন বন্ধ থাকবে সে বিষয়ে অধিদফতরের নির্দেশনা ছাড়া জেলা শিক্ষা বিভাগের কিছু করার নেই।