সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের করা মামলাকে প্রহসন বলছেন আইনজীবীরা

সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের করা মামলাকে প্রহসন বলছেন আইনজীবীরা

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশের করা মামলা নিয়ে এরই মধ্যে উঠেছে প্রশ্ন। পুলিশের মামলাকে প্রহসন বলছেন আইনজীবীরা। আর শ্রমিক নেতাদের দাবি পরিকল্পিতভাবে তাদের ফাঁসিয়ে দেয়া হচ্ছে। সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় ডিপো কর্মচারীদের অবহেলায় মানুষের মৃত্যুর অভিযোগ এনে মামলা করে পুলিশ।

তবে পুলিশের করা মামলা নিয়ে এরইমধ্যে উঠেছে প্রশ্ন। মামলায় আসামি করা ৮ জনের মধ্যে অন্তত ৫ জনই এই ঘটনায় কম বেশি আহত। তাদের মধ্যে গুরুতর দুইজন এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। এজাহারে মালিকপক্ষের কারো নাম নেই কেন সে বিষয়ে কোনো বক্তব্য নেই পুলিশের। পুলিশের মামলায় কর্মচারীদের অবহেলার অভিযোগটিকে প্রহসন বলছেন আইনজ্ঞরা। এতে প্রভাবশালী মালিকপক্ষকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ তাদের।

Pop Ads

সাবেক বিচারক ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান দুলু বলেন, যাদের আসামি হওয়ার কথা তাদের আসামি না করে এবং ৩০২ ধরায় মামলা না করে শুরুতেই মামলাটি দুই দিক থেকে দুর্বল করে দেয়া হয়েছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে৷ এজাহারে বি এম কনটেইনার ডিপো কর্তৃপক্ষ বলা হয়েছে৷ আইনে ডিপোর মালিকপক্ষ বিধিবদ্ধ কর্তৃপক্ষ৷

আর ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা না করে অবহেলা জনিত মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে, যা ঠিক হয়নি৷ ৩০২ ধারায় মামলা হওয়ার দুইটি শর্ত আছে জ্ঞাতসারে এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে ( নলেজ এন্ড ইনটেনশন)৷ এর যেকোনো একটি থাকলেই হবে৷ নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকার কারণে মানুষের মৃত্যু হতে পারে এটা তো জানা বিষয়৷ মানুষকে মৃত্যুর মুখে রাখা এবং সেই পরিস্থিতিতে মৃত্যু তো সরাসরি হত্যার অপরাধ৷

এই মামলায় শ্রমিকদের পরিকল্পিতভাবে ফাঁসিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে মনে করে শ্রমিক সংগঠনগুলো। পুরো ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে তারা। বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪৬ জন। আর আহত তিনশতাধিক।