সূর্যগ্রহণে চোখের ক্ষতি এড়াতে কী করতে হয় জানেন?

সূর্যগ্রহণে চোখের ক্ষতি এড়াতে কী করতে হয় জানেন?

আগেকার দিনে সূর্যগ্রহণ হওয়ার আগে গুরুজনেরা নানা রকম বিধি নিষেধের কথা বলতেন। ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। সূর্যের দিকে তাকানো যাবে না। আরও কত শত কথা! তবে চিকিৎসকরা দিয়ে থাকেন এটা নিয়ে নানা রকম পরামর্শ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সূর্যের আলো চোখের রেটিনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। একে সোলার রেটিনোপ্যাথি বলে। যার ফলে দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন ও চোখে ব্যথা হতে পারে।

Pop Ads

সোলার রেটিনোপ্যাথি হলো, সরাসরি সূর্য বা লেজার পয়েন্টারের মতো অন্যান্য উজ্জ্বল আলোর দিকে তাকানোর ফলে আমাদের রেটিনার ক্ষতি হয়। রেটিনা হলো চোখের ভেতরের একটি পাতলা পর্দা যা আলো অনুভব করে এবং মস্তিষ্কে সংকেত প্রদান করে যেন আমরা কোনো বস্তু দেখতে পাই। সোলার রেটিনোপ্যাথি স্থায়ীভাবে কম দৃষ্টি সহ বিভিন্ন উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে।

সরাসরি সূর্যের দিকে তাকালে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি চোখের ক্ষতি করে। যেমন- সূর্যগ্রহণের সময় সূর্য দেখা। এছাড়া ওয়েল্ডিং টর্চ বা লেজার পয়েন্ট থেকে উজ্জ্বল আলো দেখার কারণেও সোলার রেটিনোপ্যাথি হয়ে থাকে। নীল এবং বেগুনি রংয়ের লেজারগুলি লাল বা সবুজ রংয়ের লেজারের চেয়ে বেশি বিপদজনক।

কারণ চোখ নীল এবং বেগুনি রঙের প্রতি কম সংবেদনশীল। সরাসরি সূর্যের আলোর দিকে তাকালে কয়েক ঘন্টার মধ্যে সোলার রেটিনোপ্যাথির লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়।

চিকিৎসকরা বলছেন সূর্যগ্রহণের সময় কী কী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়।

১. সূর্যগ্রহণের সময় প্রতিরক্ষামূলক চশমা ব্যবহার করা।
২. শিশুদের সূর্যগ্রহণের স্থান থেকে দূরে রাখা ।
৩. মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দূরে রাখা ।
৪. লেজার পয়েন্টার থেকে দূরে থাকা।