সুপ্রভাত বগুড়া ডেস্ক: জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ মঙ্গলবার (১৪ জুলাই)। গত বছর এই দিনে সকাল ৭ টা ৪৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুর আগে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বেশ কিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার ভুগছিলেন। ৮৯ বছর বয়সে তিনি মত্যুবরণ করেন।
এদিকে, করোনা পরিস্থিতির কারণে সিলেট জেলা ও মহানগর জাপা’র উদ্যোগে ছোট পরিসরে কোরআন খতম, মাদরাসা ছাত্রদের একবেলা খাওয়ানো, মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় সূত্র জানায়, মহানগর জাপার উদ্যোগে আজ নগরীর ঝেরঝেরিপাড়া মাদরাসায় কোরআন খতম ও দোয়া হবে। পরে মাদরাসার ছাত্রদের এক বেলা খাওয়ানো হবে।
জেলা জাতীয় পার্টি উদ্যোগে জেলা কার্যালয়ে বাদ জোহর মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা এবং ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির উদ্যোগে মসজিদে দোয়া ও মিলাদ হবে। উল্লেখ্য, অবিভক্ত বাংলায় ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রংপুরে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কৈশোর-তারুণ্যে বেড়ে উঠেন পশ্চিমবঙ্গের কুচবিহারে।
সেখান থেকেই এসএসসি পাস করেন এবং রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। সাড়ে তিন দশকের বেশী নময় ধরে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ দেশের অন্যতম আলোচিত-সমালোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন।
নানা বিতর্ক, সমালোচনা সত্তেও তিনি একদিকে বর্ণাঢ্য ও বৈচিত্রময় রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারি, অন্যদিকে বিপরীতমুখী বিতর্ক ও সমালোচনার পরও শেষ পর্যন্ত তিনি একজন সফল রাজনৈতিক চরিত্র হিসেবেই বিবেচিত ছিলেন। ১৯৮১সালের ৩০ মে কতিপয় বিপথগামি সেনা অফিসারের হাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর এক বছরের মাথায় গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের প্রেসিডেন্ট বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে হটিয়ে তৎকালীন সেনাপ্রধান এরশাদ রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করেছিলেন।
এরপর প্রথমে সামরিক শাসক হিসেবে অত:পর জাতীয় পার্টি গঠণ ও স্বনিয়ন্ত্রিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তিনি ৯ বছর দেশ পরিচালনা করেছেন। আশির দশক জুড়ে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের চুড়ান্ত পর্যায়ে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পতনের আগ পর্যন্ত তিনি একজন সফল রাষ্ট্রপতি হিসেবেই দায়িত্ব পালন করেছেন। অবকাঠামো উন্নয়ন এবং উপজেলা পরিষদ গঠনের মত স্থানীয় প্রশাসনিক সংস্কার তাঁর অন্যতম কৃতিত্ব হিসেবে স্বীকৃত।