সুপ্রভাত বগুড়া ( আবদুল ওহাব শাজাহানপুর বগুড়া প্রতিনিধি): মহামারি করোনা দুর্যোগে দেশের উত্তরবঙ্গে বগুড়া এখন হটস্পটে পরিণত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এই জেলায় অবাধে আসা-যাওয়া, চলাচলে মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য না করা, বিনা কারনে জনসমাগমে বিচরণ সহ ইত্যদী কারনে এই পরিস্থিতর সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন জেলার সুশীল সমাজের লোকজন।
বিধায় স্বাস্থ্য বিধি মানতে বাধ্য করতে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ জানেিয়ছেন সচেতন নাগরিকগন। জেলায় একদিনেই রেকর্ড ৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ১২ নারী, দুই শিশু, শহরের মাছের পাইকারি আড়ত চাষি বাজারের ১২ জন ব্যবসায়ী ও কর্মচারী রয়েছেন।
করোনার সংক্রমণ শুরুর পর একদিনে করোনা শনাক্ত হওয়ার দিক থেকে এটা সর্বোচ্চ রেকর্ড। শনাক্তের হার মোট নমুনার ৩০ শতাংশেরও বেশি। এ নিয়ে জেলায় ২৪০ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন মোস্তাাফিজুর রহমান বুধবার রাতে নতুন করে ৫০ জন করোনায় আক্রান্তের তথ্য জানানোর পর জেলার সাধারন জনগনের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।
সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ল্যাবরেটরিতে বগুড়ার ১৬৬টি, জয়পুরহাট জেলার ৪৮টি, সিরাজগঞ্জ জেলার ৬৫টি ও গাইবান্ধা জেলা থেকে আসা তিনটি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আর বগুড়ার ১৬৬টি নমুনার মধ্যে ৫০টি পজিটিভ এসেছে।
জয়পুরহাট ও সিরাজগঞ্জ জেলার একটি করে নমুনা পজিটিভ এসেছে। এ ক্ষেত্রে দেখোযায় করোনায় বগুড়াই উত্তরবঙ্গের হটস্পটে পরিণত হয়েছে। বগুড়া চাষি বাজারে সতীশ মৎস্য আড়তের ১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
এরপর পাশের আড়তের অন্যদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এতে আবারও ১২ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। চাষি বাজারের কয়েকজন আড়তদার বলেন, চাষি বাজারের প্রতিদিন ভোরে কয়েক হাজার ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় হয়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পরও এখানে সামাজিক দূরত্ব মেনে কেনাবেচা করা সম্ভব হচ্ছিল না। এ কারণে বাজার বন্ধ রাখার অনুমতি চেয়ে আড়তদার ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু প্রশাসন বাজার বন্ধে ব্যবস্থা নেয়নি।
খোলা জায়গায় বাজার সরিয়ে নিতেও কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিধায় জনসাধারনের অবাধ চলাফেরা, মাস্ক ব্যবহারে বাধ্য করা ও জনসমাগমের প্রতি প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার পরামর্শ জানেিয়ছেন সচেতন নাগরিকগন।