সুপ্রভাত বগুড়া (জাতীয়): তথ্য গোপন, নথি জাল, এজাহার বদলানো এবং অভিযোগের গুরুত্ব কমানোসহ নানা উপায়ে গত কয়েক মাসে কমপক্ষে ৬টি জামিন জালিয়াতির ঘটনা উচ্চ আদালতে। দুর্নীতি, ধর্ষণ, অস্ত্র ও মাদক মামলায় এসব জালিয়াতির ঘটনায় অন্তত ৫০ মামলা করেছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলছেন, তদন্ত শেষে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোয়া তিন কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের জামিন আবেদন হাইকোর্ট নাকচ করেন গত জানুয়ারিতে। পয়লা জুন আবার জামিন আবেদন করলে তাও খারিজ হয়।
এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয় বিচারিক আদালত। হাইকোর্টের আদেশ গোপন করে ২৯ অক্টোবর আবেদন করলে বিচারিক আদালত তাকে জামিন দেয়। শুধু তথ্য গোপনই নয় এজাহার বদলে, বিচারিক আদালতের রায় পাল্টে, অভিযোগের গুরুত্ব কমিয়ে বিভিন্নভাবে জালিয়াতি করে সম্প্রতি হত্যা, ধর্ষণ, মাদক ও অস্ত্র মামলায় জামিন জালিয়াতির বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে উচ্চ আদালতে।
আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এসব ঘটনায় অন্তত ৫০ থেকে ৬০টি মামলা করেছে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন। যার তদন্ত চলছে। জালিয়াতির সাথে আইনজীবীদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ধর্ষণ মামলায় রায়ের নথি পাল্টে আসামির জামিন নেয়ার পর এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে ওঠে জালিয়াতির অভিযোগ। তবে, অনেক সময় আইনজীবীরাও প্রতারিত হয় বলে মনে করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল।